আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আসন্ন আক্রমণে দেরি করাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নথি ফাঁস তারই ইঙ্গিত বহন করছে।
গত ১ অক্টোব ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ছবি: রয়টার্স
গত শুক্রবার ইরানে ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা সম্বলিত দুটি গোপন নথি ফাঁস হয় অনলাইনে। এসব নথি নিয়ে শুরুতে সংশয় থাকলেও এখন বিশ্লেষকরা বলছেন, এগুলো আসল। গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ফাঁস নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন।
আজ বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁস হওয়া নথিগুলো ঠিক ইসরায়েলের পরিকল্পনার না। বরং ইসরায়েলের পরিকল্পনার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির দুটি স্যাটেলাইট নথি ফাঁস হয়েছে।
জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে যে গোপন নথি ফাঁস হয়েছে তা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হয়েছে কি না সে সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসন নিশ্চিত নয়। তবে প্রেসিডেন্ট নিজে এই তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যা পিয়েরে বলেছেন, বিষয়টি ‘খতিয়ে দেখা হচ্ছে’ এবং প্রেসিডেন্ট সরকারি তদন্ত সংস্থাগুলোর ওপর সম্পূর্ণ আস্থাশীল।
গত শুক্রবার থেকে ‘মিডল ইস্ট স্টেকটেটর’ নামের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে নথিগুলো প্রকাশ হতে শুরু করে। নথিগুলোতে টপ সিক্রেট চিহ্ন দেওয়া রয়েছে। চিহ্নগুলো এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যা কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও তার পাঁচ মিত্র দেশ— অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যই দেখে পারবে।
ফাঁস হওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরায়েল কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, সেই তথ্যও রয়েছে ওই নথিতে।
অপর এক নথিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলা পরিকল্পনার তথ্য সংগ্রহ করেছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাজেন্সি। সেখানে আকাশ থেকে ভূপৃষ্ঠে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপসহ ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর মহড়ার কথা বলা হয়েছে। ইরানে কীভাবে বিমান হামলা চালানো হবে, তা নিয়েই মূলত মহড়া হয়।
ইসরায়েলি হামলা পরিকল্পনার নথিগুলো এমন এক সময়ে ফাঁস হলো যখন ইসরায়েল বলছে, তারা ১ অক্টোবরের ইরানের হামলার জবাব দেবে।