জাতির সংবাদ ডটকম।।
শিক্ষা মন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণমাধ্যম প্রতিমন্ত্রী বরাবর ঝগড়াচড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও চকবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন চেয়ে স্কুল দুটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক এবং শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহমেদ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে সচিবালয়ে আবেদন করেন। আবেদনের অনলিপি শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শেরপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রদান করা হয়। চিঠিতে দাবী করা হয় যে, গতকাল আমরা লক্ষ্য করেছি যে সরকার স্কুল, বিদ্যালয় সমূহের কটুনাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের বিয়ে করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেয়া সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণার সাথে অত্যন্ত যুগোপযোগী একটি সিদ্ধান্ত।
আবেদনে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,আমি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের মধ্যে স্বনামধন্য এবং সবচাইতে প্রাচীন দুটি বিদ্যালয়, তা হচ্ছে ঝগড়াচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে পড়তে আসে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূর থেকে শিক্ষার্থীরা। স্বাধীনতার পূর্বে প্রতিষ্ঠার সময় এ বিদ্যালয়ের শুরুতের নাম ছিল শহীদ নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। পরবর্তীতে পাশের গ্রামের সাথে বাজার নিয়ে একটি বড় রকমের ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। এ থেকেই শহীদ নগর নাম পরিবর্তন করে হয়ে যায় ঝগড়ার চর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। ঝগড়া মানে বিবাদ, একজন কোমলমতি শিক্ষার্থী স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় একটি বিবাদ নাম মাথায় নিয়ে ভর্তি হয়। এই বিদ্যালয়ের সনদের মধ্যে এ বিবাদ সৃষ্টিকারী নাম যুক্ত হওয়ায় অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তি যারা এই বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করেছেন তারা নাম বলতে অস্বস্তি বোধ করে
প্রাচীন বিদ্যালয়টির সাথে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে। মান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীদের নির্যাতনের ক্যাম্প ছিল এই বিদ্যালয়। অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবর রচিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে। অনেক নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে এখানে। আমার নানা মরহুম ডক্টর শামসুল হক সাহেব ছিলেন এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। তার ছোট ছেলে মোঃ শাহনেওয়াজ বর্তমানে এই স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আমার পিতা মরহুম রফিকুল ইসলাম ছিলেন এই স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় শিক্ষক। বিনা পয়সায় ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করানো এবং সহযোগিতা করার একটি রেওয়াজ রয়েছিল তার মধ্যে।
এই স্কুলের নাম পরিবর্তন করে করবেন নাম শহীদ নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নাম ফিরিয়ে দেওয়া বা প্রতিষ্ঠার কালীন শিক্ষকদের নামে বা অত্র এলাকার শহীদ কোন মুক্তিযোদ্ধা নামে এমনকি যাদের জনক বঙ্গবন্ধু পরিবারের কারো নামে দিলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না। আশা রাখি খুব দ্রুত বিদ্যালয়ে দুটির নাম পরিবর্তন করে আগামী প্রজন্মকে একটি কটু নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।