কোটা সংস্কার আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না : প্রস্তুতি সভায় বক্তারা

বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার রিটকারীদের মতবিনিময় ও আলোচনা সভা আয়োজন সংক্রান্ত এক প্রস্তুতি সভায় বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের একটি প্রতিষ্ঠিত নীতির বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের এবং মাঠের আন্দোলনে গণজোয়ার তৈরি করতে কলমযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে কোটা সংস্কারের পক্ষে সাহসিকতার সাথে শতাধিক রিপোর্ট প্রকাশ করার ইতিহাস ভুলে গেলে ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লব প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে তারা মনে করেন।

১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে প্রথম রিটকারী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকারদের থেকে প্রতিনিধি থাকা দরকার ছিল। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের উজ্জ্বল নক্ষত্র, এই আন্দোলনের নেপথ্যের কারিগর, কোটা সংস্কারের পক্ষে শতাধিক রিপোর্টকারী, ঢাবি-রাবি থেকে ত্রিপল মাস্টার্স সম্পন্নকারী মেধাবী সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেয়ার জোর দাবি করেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকেই জুলাই বিপ্লব। এই আন্দোলন যারা শুরু করলেন এবং পুরো আন্দোলনে যারা অসামান্য অবদান রাখলেন তাদের অবদান ভুলে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে যাকে-তাকে উপদেষ্টা করায় আজ সমানে প্রশ্ন ওঠছে।

 

৫৬% কোটার কারণে বিসিএসে বঞ্চিত হয়ে কোটা সংস্কার রিটকারী সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ’র সভাপতিত্বে ও অন্যতম পিটিশনার সাবেক ঢাবি শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান মীরের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, লালমোহন হাজী মো. নুরুল ইসলাম চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল আব্বাছ উদ্দিন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, দৈনিক গণজাগরণের মফস্বল সম্পাদক এস এম নাসিম, সাংবাদিক এনামুল হক এনা, সমাজকর্মী কাজী শামসুল ইসলাম রঞ্জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ও আমাদের আগামীর উপদেষ্টা লিটন সিদ্দিকী প্রমুখ।

 

প্রস্তুতি সভায় আগামী ১৯ নভেম্বর সকাল ১১টায় ডিআরইউর সাগর রুনি হলে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। সবশেষে ১০জন বিশিষ্ট নাগরিক ও শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সুন্দরভাবে মতবিনিময় সভাটি আয়োজন করতে রিটের অন্যতম পিটিশনার, বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম দিদার সবার সহযোগিতা কামনা করেন।