খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের বিকল্প নেই

রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

জাতির সংবাদ ডটকম।।

খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আলেম-উলামারা নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। ইসলামী দলগুলো বিভক্তি হলে জালেমরা ক্ষমতাসীন হবে। আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী না হলে ইসলাম প্রিয় মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়বে। খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের বিকল্প নেই। শনিবার বিকেলে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে খেলাফত মজলিস খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

 

খেলাফত মজলিস খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস মাওলানা আলী আহমদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার আব্দুল মজিদ। প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব মুফতী আলী হাসান উসামা।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নায়েবে আমীর শায়খুল হাদীস আহমদ আলী কাসেমী বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হলে খেলাফত মজলিসের মাধ্যমে ভালো ও সৎ মানুষ তৈরি করতে হবে। ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা ছাড়া জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়। প্রচলিত সিস্টেম অর্থনৈতিক দুরাবস্থা ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারছে না।

 

প্রধান বক্তা বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক মুফতী আলী হাসান উসামা বলেন, অর্থনীতিতে সুদ, বীমায় সুদ, বৈদেশিক সুদ ও মহাজনী সুদ থাকলে বৈষম্য দূর হবে না। বৈষম্য দূর করতে হলে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে খেলাফতের কাফেলায় শরীক হোন। রাষ্ট্রপতি যদি রাষ্ট্রের মালিক হন, তাহলে জনগণ কী তার প্রজা। চীন, রাশিয়া ও আমেরিকা থেকে আমদানী করা মতবাদ মানুষকে মুক্তি দিতে পারবে না।

 

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার আব্দুল মজিদ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। গুম, খুন, নির্যাতন ও আয়না ঘর আবিস্কার করায় তাদের স্বৈরাচারী মনোভাব বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা হলে আয়না ঘর চিরতরে বিলুপ্ত হবে। ১৫ বছরে বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান।

 

অন্যন্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মারকাজুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রফিকুর রহমান, দারুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা নাসির উদ্দীন কাসেমী, তামিমুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ, খুলনা মহানগর খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এফ এম হারুন অর-রশীদ, খেলাফত মজলিসের যশোর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওঃ আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মীর মোহর আলী, বাগেরহাট জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মুফতি আমিরুল ইসলাম, মাওলানা ইউসুফ আজাদী, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ যোবায়ের, নগর সম্পাদক অ্যাড. শহীদুল ইসলাম, যুব মজলিস কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামিরুল ইসলাম, হাফেজ সাজ্জাদ হোসেন চঞ্চল, ইমদাদুল্লাহ আজমী ডালিম প্রমুখ।।