দীর্ঘ ৬ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স দেন না বসুন্ধরা আবাসিকের মালিকেরা

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪

আরমান বাদল ।।

২০১৮ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত হয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। কিন্তু ৬ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স দিচ্ছেন না বসুন্ধরা আবাসিকের বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকেরা। অথচ প্রতি মাসেই বসুন্ধরা গ্রুপকে উন্নয়ন ফি বাবদ টাকা দেন ফ্ল্যাট ও ভবন মালিকেরা। সেই টাকা আদায় করা হয় বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মাধ্যমে।

দীর্ঘ ৬ বছরে ৩০০ কোটি টাকার বেশি তুলেছে বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এবার তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায়ে কঠোর হচ্ছে সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে বকেয়া পরিশোধে চিঠি দেওয়া শুরু করেছে ডিএনসিসি।

আবাসিক ভবনের প্রতি বর্গফুটের জন্য মাসে ৬০ থেকে ৮০ পয়সা এবং বাণিজ্যিকের জন্য ১ টাকা ৮০ পয়সা দিতে হয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে। সেই হিসাবে ১১ হাজার ফ্ল্যাট ও ভবন মালিকের কাছ থেকে বছরে আদায় ৫০ কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ দীর্ঘ ৬ বছরে তোলা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার বেশি।

বসুন্ধরায় বসবাসকারীরা বলছেন যেহেতু সিটি করপোরেশনের মধ্যে থাকতে হয় রাজউকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেজন্য অবশ্যই সিটি করপোরেশনকে ট্যাক্স দেওয়া উচিত। তবে বসুন্ধরার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো। তবে বসুন্ধরা যে পরিমাণ টাকা নেয় তারা । বসুন্ধরার বিপক্ষে কথা বলা যায় না, তারা সেটা ভালো মনে করে সেটাই।

 

বসবাসকারীদের আশা সরকার যদি বসুন্ধরায় হস্তক্ষেপ করে তাহলে এদের দাপট কিছুটা কমবে।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, বসুন্ধরা আবাসিকে ট্যাক্স ধার্য হবে ২০১৮ সাল থেকে। মালিকদের পরিশোধ করতে হবে বকেয়া টাকাও। করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের একটা কথা ছিল যে, রাজউক তাদের এখনও প্রজেক্ট হ্যান্ডওভার করেনি। আমরা দেখেছি, বসুন্ধরার অনেকগুলো ব্লকের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। সেগুলোতে আমরা ট্যাক্স আদায়ের কাজ করতে পারি। আমরা সেসব ব্লকে নোটিশ দিচ্ছি, বাসিন্দারা সাড়াও দিচ্ছে।

এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের দাবি সিটি করপোরেশনকে ট্যাক্স না দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে রাজউক। আর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বলছে, মালিকদের কাছে থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে তা দিয়ে আবাসিকের উন্নয়নে খরচ করেছে গ্রুপ।

বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ট্যাক্স ধার্য করলে তাতে সাড়া দেবে বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। কাউকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না। ওয়েলফেয়ার সোসাইটি টাকা আদায় করে উন্নয়নের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে দিয়ে দেয়। সমন্বয় করে কাজ করা হয়।

 

ভবন মালিকেরা বলছেন, বাড়ি তৈরির সময় উন্নয়নের নামে টাকা নেয় বসুন্ধরা। প্লট বা ফ্ল্যাট বিক্রি করতে গেলেও টাকা দিতে হয়। এরপরও প্রতি মাসে ফি নিচ্ছে বসুন্ধরা আবাসিক। কিন্তু সিটি করপোরেশন কিছুই পাচ্ছে না।

 

বিএসএম গ্রুপের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ন্যাশনাল ব্যাংক কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রামে খেলাপি ঋণ আদায়ে ন্যাশনাল ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবস্থান কর্মসূচি।