কাজাখস্তানে প্লেন দুর্ঘটনায় ৩২ জন জীবিত উদ্ধার

বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আজারবাইজান থেকে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে কাজাখস্তানের আক্তাউ শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্লেনটিতে মোট ৬২ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে ৩২ জন জীবিত রয়েছেন।

কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, ৬২ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু নিয়ে বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রজনির দিকে যাত্রা করে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট জে২-৮২৪৩। যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন আজারবাইজানের, ৬ জন কাজাখস্তানের, ৩ জন কিরগিজস্তানের ও ১৬ জন রাশিয়ার নাগরিক ছিলেন।

রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়া প্রাথমিকভাবে জানায়, উড়োজাহাজটি একটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে জরুরি পরিস্থিতির শিকার হয়ে আকতাউ শহরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এর আগে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, বাকু-গ্রজনি রুটে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। গ্রজনিতে কুয়াশার কারণে পথ পরিবর্তন করে আকতাউ শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে জরুরি অবতরণ করে উড়োজাহাজটি।

সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এমব্রায়ার ১৯০ মডেলের ওই উড়োজাহাজটির একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। তারপর ঘন কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এক বিবৃতিতে দেশটির জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় জানায়, উড়োজাহাজের আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ রাশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন। আজ বুধবার একটি সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটিতে গিয়েছিলেন তিনি।

আজারবাইজানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আজেরতাক জানায়, জরুরি পরিষেবামন্ত্রী, উপমহাপরিদর্শক এবং আজারবাইজান এয়ারলাইনসের সহসভাপতির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঘটনা তদন্তে আকতাউ শহরে গিয়েছেন।

কাজাখস্তান এই তদন্তে আজারবাইজানের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি সরকারি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন সদস্যদের দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ফ্লাইটরাডার ২৪ ডটকম জানায়, আকতাউ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগে উড়োজাহাজটি একটি আঁকাবাঁকা গতিপথে চলছিল এবং ওঠানামা করছিল। জিপিএস জ্যামিংয়ের কারণে উড়োজাহাজটি সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চেচনিয়ার ক্রেমলিন-সমর্থিত নেতা রমজান কাদিরভ এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তাদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেন তিনি।