বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও বয়স বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই শর্ত অনুযায়ী তিনি রাজনীতি করতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কেউ দুই বছরের বেশি শাস্তিপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচন করতে পারেন না। খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। সুতরাং নির্বাচন করার প্রশ্নই আসে না। তাকে শর্তসাপেক্ষে শারীরিক অবস্থা ও বয়স বিবেচনায় কারাগারের বাইরে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শর্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া রাজনীতিও করতে পারেন না। যে শর্তে তাকে ঘরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেই শর্তের মধ্যে তিনি যে রাজনীতি করতে পারবেন, তা নেই। শর্তে বলা আছে, তিনি ঘরে থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং অন্য কোনো কিছু করতে পারবেন না।
হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ যদি বলে থাকেন, বলতে পারেন, তবে আমি যতদূর জানি, আইন-কানুন বুঝি-জানি, খোঁজখবর নিয়েছি শর্ত অনুযায়ী তিনি বাসায় থাকতে পারবেন, চিকিৎসা নিতে পারবেন। কিন্তু তার রাজনীতি করতে পারার কথা নয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আদালত আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। ফলে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে।