জাতির সংবাদ ডটকম।।
১ জানুয়ারি মধ্যরাতে গুলশান ক্লাবে খান মোহাম্মদ আমিরের স্ত্রী রোকসানা আমির হামলার শিকার হোন। অভিযোগ অনুযায়ী, রোকসানা আমির তার পারিবারিক বন্ধুদের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করতে গুলশান ক্লাবে গেলে সেখানে সৈয়দ এহসান আব্দুল্লাহ উপস্থিত হন। তিনি তার স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে নিয়ে ক্লাবের কফি কর্নারে আসেন । তখন তিনি রোকসানা আমিরসহ উপস্থিত অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন, এবং আক্রমন করেন।
ঘটনার সময় সন্ত্রাসী এহসান আব্দুল্লাহ একজন রাজনৈতিক নেত্রীকেও হত্যার হুমকিও দেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এবং গুলশান ক্লাবের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, মিসেস রোকসানা আমীর একজন সুপরিচিত মানবাধিকার কর্মী ও জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এ এইচ আর এর জাতীয় প্রসিডেন্ট এবং ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সদস্য জনাব খান মো: আমীরের স্ত্রী । গুলশান ক্লাবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ন জায়গায় একজন মানবাধিকার নেত্রী ক্লাবের সভাপতির স্ত্রীকে হত্যার হুমকি কোন সাধারন ঘটনা নয় বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মানবাধিকার আইনজীবী ও এ এ এ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এডভোকেট ড. মো এনামুল হক। ড. হক মনে করেন যে এই হামলা বা প্রান নাশের হুমকি উদ্দেশ্য প্রনোদিত , হামলাকারী – হুমকি দাতা সন্ত্রাসী এহসান কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে । তাই তিনি গুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবী জানান। জনাব হক আরো বলেন যে, যদি দেশে মানবাধিকারকর্মীরাই নিরাপদ না থাকে তাহলে সাধারন মানুষের অবস্থাতো আরো ভয়াবহ হবে। এসব অপরাধের বিচার না হলে সন্ত্রাসীরা আরো হিংস্র ও ভয়ানক হয়ে উঠবে।
এ দিকে ৩ জানুয়ারি ইমেইলে এবং ৪ জানুয়ারি সরাসরি গুলশান ক্লাবের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন খান মোহাম্মদ আমির। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, এহসান আব্দুল্লাহ ক্লাবের নিয়মিত সদস্য নন। তাই তার প্রবেশ কীভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া, এহসানের বিরুদ্ধে এর আগেও ক্লাবের বিভিন্ন সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার কয়েকদিন পরেও ক্লাব কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবং ভিকটিম অনিরাপত্তায় ভোগছে, সন্ত্রাসী এহসান আবদুল্লাহ তার পোষা গুন্ডাবাহিনী দিয়ে রোকসানা আমিরের গুলশানের বাড়ীর আশেপাশে মাঝে মধ্যেই মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে । ঐ ঘটনার পর থেকে মিসেস আমীর ও তার পরিবারের লোকজন চরম অনিরাপত্তায় ভোগছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সৈয়দ এহসান আব্দুল্লাহর নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অতীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ড ও অগ্নি সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার নামে একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি রয়েছে।
একজন পরোয়ানাভূক্ত আসামী কি করে বাহিরে ঘুরে বেড়ায় এবং ২ জন সম্ভ্রান্ত মহিলাকে হত্যার হুমকি দিয়েও পালিয়ে যায়!!
জনমনে তাই চরম আতংক বিরাজ করছে ।