দীর্ঘদিন পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ

বুধবার, জানুয়ারি ৮, ২০২৫

 

জাতির সংবাদ ডটকম।।

দীর্ঘ ২ হাজার ৭৩৩ দিন পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে দেখা হলো মা- বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমানের।

 

দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে মাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান পরম নিশ্চিন্তে মাকে জড়িয়ে ধরেন। একমাত্র ভরসার স্থল মায়ের কোলে আশ্রয় নেন। এ সময় তার দু’চোখ আনন্দ-অশ্রুতে ভিজে ওঠে।

 

বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের অবিসংবাদিত নেত্রী, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক চিকিৎসা-ব্যবস্থা সম্বলিত একটি এয়ার-অ্যাম্বুলেন্সে বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে) হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছান। এ সময় তাঁর বড় ছেলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্টে তাঁকে (বেগম খালেদা জিয়া) স্বাগত জানান।

 

হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে মা ও ছেলের এই ঐতিহাসিক মহামিলন লন্ডনের ইতিহাসেও অম্লান হয়ে থাকবে।

 

এ দুনিয়ায় সবচেয়ে আপন বলতে একজনকেই বোঝানো হয়-তিনি হচ্ছেন -মা। বিশ্বের সবচেয়ে শ্রুতিমধুর শব্দের নামও হচ্ছে ‘মা’। জন্মের পর মায়ের নাড়ি-ছেঁড়া বলেই হয়তো মায়ের কাছে তার সন্তানই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি আপন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ২ হাজার ৭৩৩ দিন প্রিয় জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমান পিনুকে ছাড়া তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে থাকতে হয়েছে।

 

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো’কে এক দশক আগেই হারিয়েছেন। কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি অসুস্থতার কারণে ইন্তেকাল করেন।

 

অপরদিকে, জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমান ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অত্যাচার-নির্যাতন এবং মামলা-হামলার কারণে দেশ ছেড়ে বিদেশের মাটিতে অবস্থান করতে বাধ্য হন।

 

এর আগে গতকাল (৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। তার গাড়িবহর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাত সোয়া ৮টায় বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মাত্র ১৫- ২০ মিনিটের রাস্তা হলেও তার এই গাড়িবহর তিন ঘণ্টায় বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পথিমধ্যে হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। মানুষ এ সময় প্রিয় নেত্রীকে হাত নেড়ে বিদায় জানায়।