জাতির সংবাদ ডটকম।।
সিয়াম মিয়া একজন সহজ সরল যুবক ছেলে , তার চাচাতো ভাইয়ের প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার সংস্থায় অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন এবং ঐ অফিসেই থাকতেন।
এলাকায় মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে উক্ত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়াপম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ড. মো এনামুল হক নিরলসভাবে কাজ করেছেন। অসহায় ও অধিকার লংগিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে কোন কোন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ও প্রভাবশালী মহলের ক্ষোভের মুখে পরতে হয়েছে হক কে।
৫ই আগষ্টের পর সরকার পরিবর্তন হলে দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করে এবং এই ভয়াবহতা ও নির্মমতার শিকার হয় সিয়াম মিয়া।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের মালিকানধীন বাড়িটি ইস্ট পূরিবাচল, রুপগন্জ্ঞে অবস্থিত। ঘটনার দিন ২২/০৯/২০২৪ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ১১টা থেকে রাত ২ টার মধ্যে । এ দিন সিয়াম একাই ছিলেন। ঐ বিল্ডিং অবস্থিত অফিসের পাশের রুমে থাকতেন , সিয়ামের বিধবা মা গ্রামের বাড়ীতে ছিলেন। পাশের বাড়ীর লোকজন থেকে জানা যায় যে ঘটনার ৫/৬ জন মধ্যম বয়সী লোক রাত আনুমানিক ০৯ টার দিকে উক্ত কার্যালয়ে এসে প্রতিষ্টানের প্রধান নির্বাহী এডভোকেট মো এনামুল হক কে খুঁজ করে । সিয়াম তাদেরকে জানায় যে এডভোকেট সাহেব এখানে নাই, কোথায় আছে জানতে চাইলে সিয়াম বলে যে সে জানেনা, এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে এই লোকগুলো সিয়ামকে নিয়ে বড় রাস্তার দিকে চলে যায় বলে জানা যায়। তারপর রাত ২ টার দিকে কালী কবরস্থানের পাশে পথচারীরা সিয়ামকে মুমু্র্শূ অবস্থায় দেখে আঁশে পাশে ডাকাডাকি শুরু করে , খোঁজ খবর নিয়ে সিয়ামের ভাতিজাকে নয়নকে ফোন করলে নয়ন এসে সিয়ামকে দ্রত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিয়ামকে মৃত ঘোষনা করেন।
উক্ত মানবাধিকার সংস্থার চেয়াম্যান এডভোকেট হক জাতির সংবাদকে বলেন যে, তার চাচাত ভাই ও সংস্থার অফিস সহকারী সিয়ামকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খুন করা হয়েছে । ভিকটিম সিয়াম মানবাধিকার আইনজীবী ড. এনামুল হকের বাড়ীর অফিস সহকারী কাম কেয়ারটেকার ছিলেন।
উল্লেখ্য, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মানবাধিকার কর্মী, এড. ড. মো: এনামুল হক ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ঢাকা মহানগর শাখার নেতা ও সক্রিয় কর্মী। তাই এডভোকেট হক মনে করেন যে , এতোদিন আমরা সক্রিয় থাকার কারনে যারা অন্যায় অত্যাচার ও মানবাধিকার লংগন করতে সাহস পেতনা তারাই আমার বাড়ির কেয়ারটেকার ও অফিস সহকারীকে নির্মভাবে খুন করেছে । এ দিকে জনাব হকের অফিসটি দখল করা এবং পরবর্তীতে বাড়িটি দখলমুক্ত করতে আসলে এনামুল হক কে হত্যা করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনরা, আরো জানা যায় যে, খুনিরা ঐদিন মুলত জনাব এনামুল হক কে খুন করতে এসেছিল , তাকে না পেয়ে সিয়ামকে খুন করে সংকেত দিয়ে যায়। উল্লেখ্য, হত্যার শিকার সিয়াম জনাব এড.এনামুল হকের বাড়ির কেয়ারটেকার , মানবাধিকার সংস্থা “একসেস টু হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল” এর অফিস সহকারী এবং নিজের চাচাতো ভাই।
এই ঘটনায় বার বার থানার দারস্থ হলেও কোন মামলা নিতে অপারগ বলে জানিয়েছে গাউসিয়া ফাঁরি থানা।
হত্যার এতোদিন পরেও কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনাব মো এনামুল হক, তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আসামীদের দ্রত গ্রেফতার দাবী করেন ।