নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী জেলা অটোরিক্সা চালক সমিতি, রেজিষ্ট্রেশন ট্রেড নং-১৬৭ (চট্টোঃ) শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিকগণ নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর একখানা স্মারক লিপি পেশ করেন।
উক্ত স্মারক লিপিতে সংগঠনের নেতারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরে তারা সংগঠনটিতে নোয়াখালী জেলায় ২৬২৩ জন সদস্য রয়েছে ও অত্যন্ত সুনামের সহিত তারা যাত্রী সাধারণের সাথে চলে আসছেন, কিন্তু বিগত সরকারের আদলে বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম এর কারণে সংগঠনটি বিলুপ্তির পথে। ২০১৩ সালে নির্বাচনের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুকে সভাপতি ও সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক, আনোয়ারকে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে ১১ বছর নির্বাচন ছাড়াই শ্রমিকের মাথা কেটে পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া শ্রমিকদের শ্রম, ঘ্রাম অর্থে গড়া রেজিষ্ট্রার্ডকৃত সংগঠনের অফিস খানা টোকিও, কাচ্ছি এর নিকট ৪০ লক্ষ টাকা অগ্রিম মাসে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে নিয়ে যান। বর্তমানে শ্রমিকদের বসার মতো কোনো জায়গা নাই, রাস্তার পাশে এখানে সেখানে বসে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। প্রধান কার্যালয়ের অগ্রিম বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা ও দীর্ঘদিনের ৩০ হাজার টাকা করে পাওনা ভাড়া কখনো শ্রমিকদের ফান্ডে জমা হয়নি। এছাড়া সদস্য ভর্তি ফ্রি, সদস্যদের মাসিক চাঁদা সহ লক্ষ লক্ষ টাকা উক্ত কমিটি আত্মসাৎ করে। যাহা কোনো শ্রমিকের কাছে কোনো হিসাব নেই। দীর্ঘ ১১ বছর পর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে শ্রমিকেরা সুষ্ঠ দুর্নীতিবাজ কমিটির আশা করে ছিল। কিন্তু এরই মাঝে সাবেক দুর্নীতিবাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সহ কিছু কুচক্রী মহলের ইন্দনে নির্বাচন না দিয়ে সংগঠন বহির্ভূত লোকজন দিয়ে ভুয়া স্থান ও সময় দিয়ে এবং হাত তোলা ভোটে নির্বাচন দেখিয়ে একটি কমিটি রেজিষ্ট্রার্ড অব ট্রেড ইউনিয়ন আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর কুমিল্লা কর্তৃক অনুমোদন নিয়ে আসে। যা সম্পূর্ণ সংগঠনের পরিপন্থি। এমতাবস্থায় আমরা সংগঠনের সাধারণ সদস্যগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন সহ বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতা কুক্ষীগত রাখা অবৈধ কমিটির নিকট আমাদের সংগঠনের সম্পূর্ণ টাকা পয়সার হিসাবের কথা তুলে ধরেন।
এই বিষয়ে বর্তমান কমিটির জেলা সভাপতি বিপি আলা উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এই কমিটি সম্পূর্ণভাবে শ্রম দপ্তর আমাদেরকে কিছু দিনের জন্য দিয়েছেন একটি শ্রমিক সংগঠনকে উজ্জীবিত করার জন্য। ভোটার তালিকা থেকে যাহা কিছু প্রয়োজন তাহা করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পূর্ণ করবো। যেই আসুক আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। তাছাড়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম বলেন, সাবেক কমিটির যারা ছিলেন তারা সবাই একত্রিত হলে শ্রমিকদের ১ টাকা সহ আমরা সাধারণ সভায় বসে হিসাব দিতে বাধ্য থাকবো।