জাতির সংবাদ ডটকম।।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, যাকাত ইসলামি শরিয়তভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হয়। দারিদ্র্য বিমোচন ও সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠায় যাকাত মোক্ষম ব্যবস্থা।
আজ (৩১ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামে ওমর গণি এমইএস কলেজ মাঠে অসহায়, দুস্থ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় নুরে হাবিব
ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যাকাতের মাধ্যমে গরিব ও দুস্থ মানুষদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা সম্ভব। এটি দরিদ্রদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটায় এবং তাদেরকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে।
ধর্ম উপদষ্টা আরো বলেন, যাকাত সমাজের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পদের ভারসাম্য বজায় রাখে। ধনীদের অতিরিক্ত সম্পদ দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ হলে সামাজিক বৈষম্য হ্রাস পাবে। তিনি শরিয়ত মোতাবেক যাকাত আদায়ে ধনীদের প্রতি আহ্বান জানান।
যাকাতের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, যাকাতের অর্থ দিয়ে গরিবদের ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি বা অন্যান্য উপার্জনমুখী কাজে সহায়তা করা যায়। এটি তাদের আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়। এটি দরিদ্রদের ঋণের ফাঁদ থেকে বের হতে সাহায্য করে এবং তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সহায়ক। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদেরকে ঋণমুক্ত করা যাকাতের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খ হেলালুদ্দীন বিন যমীরুদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যর মাঝে চট্টগ্রাম ওমরগনি এমইএস কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম সরওয়ার আলম, উপাধ্যক্ষ রেজাউল করীম সিদ্দীকি, নূরে হাবিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ানম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদ আহসান খালিদ ও মাওলানা ফরিদ বিন যমীরুদ্দীন উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে ২০০ জন দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ৪০ লাখ টাকার যাকাতের অর্থ বিতরণ করা হয়।