জাতির সংবাদ ডটকম।।
এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এডভোকেট গোলাম ফারুক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মেথর পট্টি পরিদর্শন করেন এবং হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ গতবছর ২৬ নভেম্বর রঙ্গম কনভেনশন সেন্টার এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিষয়ে এবং ঐদিনের সংগঠিত ঘটনায় হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের বর্ননা শুনেন। হরিজন সম্প্রদায়ের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বিষ্ণু দাশ বলেন, আলিফ হত্যায় নিরপরাধ ২৬ জন হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনকে জড়িয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাদের মামলার কোন শুনানি হচ্ছে না, কোন আইনজীবী তাদের শুনানিতে অংশ নিচ্ছে না। বিষ্ণু দাশ বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের লোকজন অত্যান্ত দরিদ্র, দিনে আনে দিনে খায়, অনেকে দুইবেলা আহারের ব্যবস্থা করতে পারে না। এই প্রথম আমাদের সম্প্রদায় থেকে এক ছেলে আইনজীবী হয়েছে। আমরা আইনজীবীদেরকে আমাদের পরিবারের সদস্য মনে করি, তাই আমাদের সম্প্রদায়ের কোন লোক আইনজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। তিনি আরো বলেন, মেথর পট্টি থেকে কোর্ট প্রাঙ্গণের গেইট পর্যন্ত প্রায় ২৬ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দায়ীদের সনাক্ত করা হোক। তিনি উক্ত ঘটনার সঠিক ও সুস্থ তদন্ত করে ন্যায় বিচার চান, হত্যার সঙ্গে জড়িত সঠিক অপরাধীকে সনাক্ত করে বিচার নিশ্চিত করলে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের কোন আপত্তি নেই বলে জানান।
এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন। এবি পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবি পার্টি ন্যায় এবং ইনসাফের পক্ষে। এবি পার্টি কোন নির্দিষ্ট ধর্মের লোকজন নিয়ে কাজ করে না। যারা বাংলাদেশের নাগরিক, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, তার যদি অধিকার লঙ্ঘিত হয়, তার পক্ষে এবং পাশে এবি পার্টি দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা একটি চরম নিন্দনীয় কাজ,যারা বাংলাদেশের শত্রু তারাই উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তিনি হরিজন সম্প্রদায়কে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যারা নিরাপরাধ ছিল তারা যেন আইনি সহায়তা পায় এবং আইনানুগভাবে হরিজন সম্প্রদায়ের গ্রেফতার হওয়া নিরাপরাধ লোকজন যেন মুক্তি পায়, এবি পার্টি সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এইজন্য হরিজন সম্প্রদায়কে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা এবি পার্টির লিগ্যাল টিম গ্রহণ করেছে বলে তিনি হরিজন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এডভোকেট গোলাম ফারুক বলেন, এবি পার্টি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বর্তমান এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী যখন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব ছিলেন তখন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে সেবক উপাধি দিয়েছিলেন। সেই থেকে আপনাদের শরীরে সিটি কর্পোরেশন যে ইউনিফর্ম থাকে সেখানে সেবক কথাটি লেখা থাকে। তিনি হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনকে নির্ভয়ে তাদের প্রত্যহিক কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলেন, কোন সমস্যা হলে এবি পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দকে অবহিত করতে বলেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা আপনাদের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মেথর পট্টি পরিদর্শন করে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করায় সম্প্রদায়ের লোকজন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ নিকট কৃতজ্ঞ জ্ঞাপন করেন।
হরিজন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান সর্দার মায়াদিন দাশ, সহ-প্রধান সর্দার গাদুলা দাশ বাবুল, রমেশ দাশ-১, গোপি দাশ, সর্দার শ্যাম বাবু, সত্যজিৎ, রমেশ, সন্তোষ লালা, দিলীপ লালা, কিষান লাল, দপ্তর সম্পাদক বিন্দু কুমার বিকি, সহ দপ্তর মহন লাল, পিরাদা পিয়ারে লাল, মুকেশ দাশ হাংগা, সমাজ সদস্য গোরী শংকর এবং দুশি। এবি পার্টির প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম বাবুল, চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম সদস্য সচিব এবং অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার যায়েদ হাসান চৌধুরী, যুবনেতা মুহাম্মদ জাবেদ, সঞ্জয় চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, বিধান চৌধুরী, নাছির উদ্দিন, সবুজ কর্মকার, জাহেদুর ইসলাম, মুবিন প্রমুখ।