
ইবি প্রতিনিধি:
মাগুরায় বোনের বাড়িতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গায়েবানা জানাজা আদায় করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্ষকের সব প্রমাণ রেডি থাকতেও সরকার বিচারে দেরি কেন করছে?
ছাত্র জনতার হাতে আইন তোলে নেয়ার আগে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার করুন। অন্যথায় ছাত্র সমাজ বিচার করতে বাধ্য হবেন। আমরা এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। আগের স্বৈরাচার সরকারের সময় ধর্ষককে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার করে দিতো। কিন্তু এই বর্তমান সরকারে কাদের সরকার? ২ হাজার শহিদদের রক্তের বিনিময়ে আপনারা বসেছেন। জনগণের সেন্টিমেন্ট না বুঝলে বা বিচার করতে না পারলে গদি ছেড়ে দেন। বিচার কার্যালয়ে বিচার না করে দু’একজনকে জনসম্মুখে শাস্তি দিতে পারলে আমাদের মনে হয় এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আছিয়া ধর্ষণে যারা অভিযুক্ত তাদেরকে যতদিন না শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে ততদিন আমরা মাঠ ছাড়বো না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো আপনারা সাতদিনের মধ্যে আছিয়া ধর্ষণকান্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। জুলাই অভ্যুত্থানের আগের সময়ে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল তা থেকে যদি আমরা বের হতে না পারি তাহলে আমাদের জুলাই স্পিরিট ব্যাহত হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে পুরো বাংলাদেশকে বের করে নিয়ে আসা।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। পরবর্তীতে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর গত শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হলে আজ ১৩ মার্চ দুপুর ১ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।