।। শান্তা কামালী ।।
অন্য কোনো নামে তুমি আমায় ডাকতেই জানোনা, সেই বাঁকা চাঁদ তোমার এতবার ডাকের জন্য আর সোজা হলো না,
আমার তাতেই ছিলো সুখ,
বাঁকা দাঁতের কলঙ্ক কে তুমিই ঢেকে দিয়েছিলে চাঁদ ছুঁয়ে…
অন্য সব নাম তুমি উড়িয়ে দিয়েছো শিমুল তুলোর মতো।
তোমার ডাকে আমার বুকে থেমে যায় আষাঢ়ের মেঘের গর্জন,
নেমে আসে শান্ত এক করতোয়া নদী,
ঝিলিক দিয়ে সূর্য ওঠে,
আরক্তিম ভোরের আকাশে একঝাঁক বালিহাঁস উড়ে যায় অজানা ঠিকানায়,
মুকুরে দেখি টোল পড়ে যুবতী কপোলে,
তোমার সেই ডাক শোনার আশায় সারারাত জেগে থাকি
একাকি বিছানায়,
অবশেষে প্রায় শেষ রাতে “রিংটোন শুনি “,
এখনো ঘুমোওনি?
তুমি কি জানো, হৃদয়ে তখন জাগে ” আনন্দ সুনামি”?
অন্য যতো নাম ছিলো কাগজে, খাতায়, দলিল দস্তাবেজে সব,সবই তখন হয়ে যায় নির্বাক ফসিল ।
মরুঝড়ে উটের মতো এই আনকোরা ঠোঁট দুটো গুঁজে দিতে চায় তোমার পাষাণ বুকের বিস্তীর্ণ চাতালে
আদিম অভিসারে।
সাগর পাড়ের দূরত্বের পথ অতিক্রম করে শুধু ইথারের শব্দমঞ্জরী।
হাল ভাঙা জাহাজের নাবিক যেমন চেয়ে থাকে মাস্তুলের দিকে,
তেমনই চেয়ে থাকি মুঠোফোনের পর্দায়…..
তোমার কর্ম ক্লান্ত ঘামঝরা মুখটার দিকে,
তুমি কি বোঝ না,কেন ঘুমহীন?
আমার অপেক্ষা কার নিশিডাকের কারনে?
আমি জানি আমাকে এ নাম ছাড়া তুমি ডাকতেই পারোনা।
কাছে পাওয়ার এই জেগে থাকা আর কতদিন,
এই পথ চাওয়া কি সত্যিই ফুরাবে না।
অন্য সবে যে নামেই ডাকুক,
বাঁকা চাঁদ ছাড়া যে তুমি ডাকতেই পারো না।