জাতির সংবাদ ডটকম।।
পাবনার ঈশ্বরদী থানা সংলগ্ন রেলগেইট জিরো পয়েন্ট এলাকায় সোহরাব কমপ্লেক্সে রোজ বিউটি পার্লার ও বুলু ডাক্তার মেমোরিয়াল ফিজিওথেরাপি সেন্টারে আনুমানিক রাত আটটার সময় মার্কেটের মালিক ইমরান হোসেন খানের সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকার মালামাল সরিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা লাগিয়ে বন্ধ করার অভিযোগে শনিবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন ওই দুই প্রতিষ্ঠানের ভাড়াটিয়া ললিতা গুলশান মিতা।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো: আমি মোছা ললিতা গুলশান মিতা । আমি আজ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি এক অসহার নারী উদ্যোক্তা জীবনের শেষ সম্বল নিয়ে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে থানার সংলগ্ন রেলগেট জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুইটি ব্যবসা শুরু করি একটি রোজ বিউটি পার্লার ও অন্যটি বুলুডাক্তার মেমোরিয়াল ফিজিওথেরাপি সেন্টার অত্যন্ত শততার সাথে আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলাম কিন্তু কিছু অসৎ উদ্দেশ্যের মানুষ থাকে যারা শুধু মানুষের ক্ষতি করার জন্যই এই পৃথিবীতে এসেছে।
ঘটনার দিন আনুমানিক রাত ৮টার সময় আমার অনুপস্থিতিতে মার্কেটের মালিক ইমরান হোসেন খান এর সহায়তায় আমার প্রতিষ্ঠানের অনেক দামের যন্ত্রপাতি মেশিনারী যন্ত্র আসবাপত্রসহ প্রায় ৪৫ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি হয় । ঘটনার সময় আমি জানতে পেরে ঈশ্বরদী থানার ওসি কে ফোন দিলে দ্রুত ডাকাত চক্র পালিয়ে যায় । আমি ঈশ্বরদীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসিকে জানালে তিনি কোর্টে মামলা করতে বলেন। আমি আজ সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল যে ডাকাতি করেছে তার নাম আমি আগেই আপনাদের সামনে বলেছি তিনি সন্ত্রাসী ইমরান হোসেন খান। এই ইমরান হোসেন খান ডাকাত চক্রের মূল হোতা সে আমাকে আজ পথে নামিয়ে দিয়েছে আমি তার সুষ্ঠ বিচার চাই এবং তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানায় এবং আমার যে পরিমান টাকা ক্ষতি হয়েছে তার কাছ থেকে বুঝিয়া পেতে চাই।
এই ইমরান হোসেন একজন ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী ভদ্রবেশি শয়তান আমি নিশ্চিত তাকে যদি আইনের আওতায় আনা হয় তবে সব কিছু খোলাশা হয়ে যাবে আমি আজ আপনাদের কাছে শুধু একটা কথাই বলতে চাই আমাকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল মালামাল ফেরত দিতে ও এই ভদ্র বেশি ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করে তাকে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। আপনার যে এত কষ্ট করে এখানে এসেছেন এই জন্য আমি আপনাদের কাছেo কৃতজ্ঞ। আপনারা যদি আজ আমাকে উপকার না করেন তবে আমি কার কাছে যাব কার কাছে গিয়ে বিচার চাইবো ।
ইমরান হোসেনকে অভিযোগের ব্যাপারে তার (০১৭১….….৬১০) মুটোফোনে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছে বলে লাইনটি কেটে দেয়।