জাতির সংবাদ ডটকম: শ্রমিকদের ভিসা দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকার সৌদি দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। দেশটির তদারকি এবং দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ নাজাহা শনিবার এ ঘোষণা দেয়।
গ্রেপ্তারকৃত দুই কর্মকর্তা হলেন, ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সাবেক প্রধান ও উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদাহি আল-শামারি এবং কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি। এই দুই কর্মকর্তা বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল ঘুষ নিয়েছেন যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫৪ কোটি টাকার সমান।
শ্রমিকদের ভিসা দেয়ার বিনিময়ে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা ৫ কোটি ৪০ লাখ রিয়াল আদায় করেছেন। এই অর্থের একটি অংশ সৌদি আরবে পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে এবং বাকিটা সৌদি আরবের বাইরে বিনিয়োগ করেছেন। তারা জানিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে ঢাকার সৌদি দূতাবাস রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো থেকে প্রতিটি ভিসা দেয়ার জন্য ২২০-২৫০ মার্কিন ডলার আদায় করত।
এ ছাড়া আরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেটাব সাদ আল ঘানম, হাতেম মাস্টর সাদ বিন তৈয়ব এবং ফিলিস্তিনি বিনিয়োগকারী সালেহ মোহাম্মদ সালেহ আল সালাউত।
এ মামলায় কয়েকজন বাংলাদেশিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, আশরাফ উদ্দিন আখনাদ, আলমগীর হোসেন খান, শফিক শাহজাহান, মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নুর, মোহাম্মদ রফিক, মুসলিম উদ্দিন ও আল আমিন খান।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, এর মধ্যে মোহাম্মদ নাসের উদ্দিন নুরের বাংলাদেশে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি আছে। এ ছাড়া আল আমিন খান দেশটিতে ভিজিট ভিসায় রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন সৌদি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ভিসা ও সৌদি আরবের বাইরে অবৈধ উপায়ে অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযুক্তরা এরই মধ্যে বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের অসাধু কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশে ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। সূত্র: আরব নিউজ