নববর্ষের দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় মেতে উঠেছে ইবি শিক্ষার্থীরা

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৫, ২০২৫

 

 

ইবি প্রতিনিধি:

 

বাংলা নববর্ষ মানেই সংস্কৃতির স্পন্দন, ঐতিহ্যের মহামিলন। প্রতিটি বৈশাখের সকালে রঙিন পোশাক, মঙ্গল শোভাযাত্রা, এবং প্রাণবন্ত হাসির উচ্ছ্বাসে বাঙালি আপন ঐতিহ্যকে নতুন করে ধারণ করে। পান্তা-ইলিশের স্বাদ, বর্ণিল আলপনা, এবং লোকজ গানের সুরে নববর্ষ হয়ে ওঠে সমাজের এক বিশাল মিলনমেলা, যেখানে শিকড়ের টানে সবাই এক হয়ে যায়। এই দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট আয়োজন করেছে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাদ মাগরিব ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে বিভিন্ন ধরনের দেশাত্মবোধক গান ও কাওয়ালি গানে মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।

 

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোটের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকারিয়া হোসাইন এবং পরিচালক মো. ওয়ায়েস কুরুনী’সহ সংগঠনের শিল্পী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

 

 

ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোটের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকারিয়া হোসাইন বলেন,

“পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্য ক্যাম্পাসের ন্যায় আমাদের ক্যাম্পাসেও পহেলা বৈশাখের আমেজ তৈরির ক্ষুদ্র প্রয়াস। ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। এখানে যে অনুষ্ঠান দেখছেন, সেটি দর্শকদের আনন্দিত করছে। আগামী ৩ বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন্দ্রীয়ভাবে যে নববর্ষ পালিত হবে, সেখানে আপনারা সাদরে আমন্ত্রিত।”

 

 

উল্লেখ্য, ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সুপরিচিত সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে “অপসংস্কৃতির উত্তাল তরঙ্গে আমরাই ব্যতিক্রম” এই স্লোগানকে ধারণ করে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি জুলাই-২৪ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আন্দোলনকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে গান তৈরি করেছে এবং “লাল জুলাই” নামে একটি মঞ্চনাটক পরিবেশন করেছে, যা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নিবেদিত। ২০২৪ সালে সারাদেশে ৬০ টির বেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা করছে।