
মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামের জুঁই নামে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মুখমণ্ডলে এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়ার মতো নারকীয় ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মানববন্ধনে নাটোর জেলা কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.টি.এম মিজানুর রহমান ও নাটোর জেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন শেখ বলেন, “এই মানববন্ধন শুধু একটি শিশুর জন্য নয়, এটা সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে। জুলাই বিপ্লবের পরেও কেন আমরা জানমালের নিরাপত্তা পাচ্ছি না, নারী ও শিশু নির্যাতন কমছে না। প্রশাসন জেগে উঠুন।”
সমাজ কল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাদিক বলেন, “এই মানববন্ধন শুধু একটি শিশুর জন্য নয়, এটা সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে। জুলাই বিপ্লবের পরেও কেন আমরা জানমালের নিরাপত্তা পাচ্ছি না, নারী ও শিশু নির্যাতন কমছে না। প্রশাসন কেন সজাগ হয় না? এই দুর্বল প্রশাসন কবে সজাগ হবে? নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মোতাবেক ১৮০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পূর্ণ হওয়ার কথা।
সেই ১৮০ দিন আসতে আসতে আরো ১৮০টি ধর্ষণের কেস জমা হয়ে যায় এবং পুরাতন কেসগুলো ধুলায় মিশে যায়। Justice is delayed, Justice is Denied. তাই ১৮০ নয়, সাত দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পূর্ণ করার ব্যবস্থা করুন।”
ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.টি.এম মিজানুর রহমান বলেন, “এরকম শিশু ধর্ষণ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা পরিবর্তিত রাষ্ট্র দেখতে চাই। সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইবিতে মানববন্ধন হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত সারাদেশে ন্যায়বিচার ও শিশু ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে, ততদিন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবো।