যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং কমিয়েছে মুডিস

শনিবার, মে ১৭, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডিস আমেরিকার সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং কমিয়েছে। ঋণ বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় শুক্রবার রেটিং কমিয়েছে তারা। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবারের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব বাজারে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ছাড় পরিকল্পনাও জটিলতায় পড়তে পারে।

মুডিজ এক বিবৃতিতে জানায়, পরপর বেশ কয়েকবার বড় ধরনের বাজেট ঘাটতি ও ঋণের সুদের হার বাড়লেও তা ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন প্রশাসন ও কংগ্রেস।

তবে সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মূল অর্থনৈতিক শক্তিও স্বীকার করেছে— বিশাল ও স্থিতিশীল অর্থনীতি, উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের আধিপত্য এখনো দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।

তিনটি প্রধান রেটিং সংস্থার মধ্যে মুডিজ সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের রেটিং কমাল। স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস ২০১১ সালে এবং ফিচ রেটিংস ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রেটিং কমিয়েছিল।

মুডিজ পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৪ সালে বাজেট ঘাটতি যেখানে জিডিপির ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, তা ২০৩৫ সাল নাগাদ বেড়ে প্রায় ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর প্রধান কারণ— ঋণের ওপর সুদের খরচ বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যয় ও তুলনামূলক কম রাজস্ব আদায়।

বিশেষভাবে ট্রাম্পের ২০১৭ সালের করছাড় অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক ঘাটতিতে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে বলেও সতর্ক করেছে মুডিজ।

মুডিজের এই পদক্ষেপকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চেং। তিনি মুডিজের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডিকে ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “তার বিশ্লেষণ কেউ গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। বারবার ভুল প্রমাণিত হয়েছেন তিনি।”

ট্রাম্পের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ও হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অর্থনীতিবিদ স্টিফেন মুর এই রেটিং কমানোকে ‘হঠকারি’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বন্ড যদি ট্রিপল-এ না হয়, তবে আর কী হতে পারে?”

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য জানায়নি।

সূত্র: রয়টার্স