
মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গাইবান্ধা জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন গাইবান্ধা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় নবীন এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ফুল এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের (টিএসসিসি) ১১৬ নং কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসান রাকিবের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদা আক্তার, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সামাদ, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শিপন মিয়া এবং জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম হক্কানি এবং জেলার অন্যান্য শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জেলা কল্যাণের সভাপতি মো. রুহুল আমিন বলেন,”বিদায়ীরা পড়াশোনার একটি ধাপ অতিক্রম করে জীবনের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাময় জীবনে প্রবেশ করছে।
অন্যদিকে আগত নবীন শূন্যতাকে পূর্ণ করছে। যারা নবীন তারা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত হতে পারো। বাবা-মা যে উদ্দেশ্য নিয়ে তোমাকে ক্যাম্পাসে পাঠিয়েছে তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে চেষ্টা করবে। মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ মাদক তোমাদের সুন্দর স্বপ্নকে নষ্ট করে দিতে পারে।” এসময় অধ্যাপক ড. মাকসুদা আক্তার বলেন,”তোমরা অনেক দূর থেকে এসেছো, নতুন পরিবেশ, নতুন পরিস্থিতি। তোমরা যারা মেয়েরা আছো বিভিন্ন সমস্যায় পড়তেই পারো। তোমরা যেকোনো প্রয়োজনে আমার শরণাপন্ন হবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো পাশে থাকার। কলেজ চ্যাপ্টার শেষ করে তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো পড়াশোনার জন্য। এজন্য সবসময় পড়াশোনার প্রতি খেয়াল রাখবে এবং পরিশ্রম করবে।”
এসময় অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ বলেন,”তোমরা কখনো একা নও। সবসময় তোমাদের পাশে আছি। ধার করা জ্ঞান দিয়ে বেশি দূর যাওয়া যায় না এজন্য তোমাকে নিজ উৎসাহে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। পাশাপাশি নাড়ীর প্রতি যেমন টান থাকে তেমনি জেলা কল্যাণের প্রতিও আন্তরিকতা থাকতে হবে। তোমরা অতীতকে স্মরণ করে বর্তমানে পরিশ্রম করো তাহলে ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে। এজন্য যারা অগ্রগামী হয়েছেন তাদের সহায়তা নিবে,শিক্ষা নিবে।”
অধ্যাপক ড. মো শিপন মিয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটা নতুন পরিবেশ। স্বাধীন এই পরিবেশে তোমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে পড়ালেখা করে নিজেকে দেশ ও জাতীর কল্যাণে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা।এমন কিছু করবেনা যার জন্য বাবা-মা, সমাজ ও দেশ লজ্জিত হয়।” এসময় তিনি গাইবান্ধা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’র এলামনাইদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সাধনের জন্য জন্য কমিটির সদস্যদের আহ্বান জানান।