আমির হামজা।।
বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মাসিক সভার ২নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক পূর্বের প্রদানকৃত ৯ দফা দাবি সমন্বয় করে ৩ দফায় রূপান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ই মার্চ) দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য একযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও সকল জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
৩ দফা দাবিগুলো হলো-
৯ম পে-স্কেল প্রদানের দাবি : গত ২০১৫ সালে ৮ম পে-স্কেল প্রদানের ৭ (সাত) বছর অতিক্রান্ত হলেও অদ্যাবধি ৯ম পে- স্কেল প্রদান করা হয়নি। গত ৭ বছরে বছরান্তে বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ ভাগ। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০০ ভাগ। একজন সরকারি কর্মচারীর পক্ষে এ বেতন দিয়ে মাসে ১০ দিন সংসার চালানোই কষ্টসাধ্য। তার উপরে ৩০ দিন চলতে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পড়তে হচ্ছে বিধায় কর্মচারীদের ন্যূনতম সংসার চালানোর স্বার্থে অবিলম্বে ৩০% মহার্ঘভাতাসহ ৯ম পে-স্কেল প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
পেনশন পূর্বের ন্যায় ১০০% উত্তোলনসহ পেনশন সুবিধা বৃদ্ধির দাবি : একজন পেনশনভোগী কর্মচারী সারাজীবন তার শ্রম, মেধা জনগণের স্বার্থে ব্যয় করে থাকে। সরকারি কর্মচারীগণ যে বেতন ভাতা সরকারের নিকট থেকে পায় তা দিয়ে তাদের সংসার চালানোই দুরূহ হয়ে যায়। তারা চাকরি শেষে আনুতোষিক দিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু যদি এ আনুতোষিকের অর্ধেক সরকারের নিকট জমা পড়ে থাকে আর অবশিষ্ট অর্ধেক আনুতোষিক দিয়ে তাদের দ্বারা কিছুই করা সম্ভব হয়ে উঠে না। যে অর্থ তারা বর্তমানে পায় তা দিয়ে তাদের সংসারের ব্যয় যায়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারি চাকরিতে মানুষ প্রবেশ করেছে-যে আর কিছু না হোক চাকরি শেষে আনুতোষিক দিয়ে হলেও তাদের জীবন মানের পরিবর্তন ঘটাবে। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় তা কোনো ক্রমেই সম্ভব হয়ে উঠে না বিধায় পূর্বের ন্যায় শতভাগ আনুতোষিক উত্তোলনসহ মূল বেতনের ৯০ ভাগের স্থলে ১০০ ভাগ গণনা করে ১*২৩০/-টাকার স্থলে ১*৩৫০/- টাকা হারে আনুতোষিক প্রদানের জোর দাবি করা হলো।
বঙ্গবন্ধু ভবন নির্মাণ এর দাবি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক দানকৃত ৪৪৮/এ মগবাজারে অবস্থিত সাবেক- বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি বর্তমানে বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির কার্যালয়টি ১তলা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। এমতাবস্থায়, সমিতির কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ভবন নামে একটি ৬ষ্ঠতলা ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি করা হলো।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রীয় কমির্টির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সায়েম, কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাসেম, মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসমত আলী মোল্লা, মো. আব্দুল আজিজ, মমতাজউদ্দীন, মিজানুর রহমান খান মোহাম্মদ মোকারম হোসেন, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, শেখ আব্দুর সালাম সুজন, মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল, আব্দুল কুদ্দুস, জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল হালিম, আর কে চৌধুরী রিজন, আব্দুল মতিন খান, মোঃ ফারুক হোসেন, রাশেদুল আলম, এহসানুল হক, অর্থ সম্পাদক পলাশ আহমেদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবদুল মান্নান বুলবুল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আইয়ুব আলী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ নূর হোসেন, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরোয়ার জমদ্দার, তানভীর হোসেন, মোহাম্মদ হারুন খান, মহিলা সম্পাদিকা সানোয়ারা বেগম, দিলরুবা শিরিন, আইন সম্পাদক এসএম ফিরোজ, কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন, গোফিজুল ইসলাম , মোঃ মহিউদ্দিন, কবির খান কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্ধ।
এছাড়াও ঢাকা বিভাগীয় জেলায় মো. আবুল কাশেম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় জেলায় শরীফ উল্লাহ, বরিশাল বিভাগীয় জেলায় আব্দুল লতিফ, খুলনা বিভাগীয় জেলায় শেখ আব্দুস সবুর, রংপুর বিভাগীয় জেলায় মোজাহার হোসেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় জেলায় শফিকুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় জেলায় ইলিয়াস আলী ইলিয়াস আলী, রাজশাহী বিভাগীয় জেলা হাফিজুর রহমান বাবু, কক্সবাজার জেলায় আবুল হাশেম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নজরুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলায় মো. নুরনবী, গাজীপুর জেলায় মো. খাইরুল ইসলাম, নীলফামারী জেলায় হাফিজুর রহমানসহ সকল জেলায় এযোগে স্মারকলিপি প্রদান করে নেতাকর্মীরা।