
নিজস্ব প্রতিবেদক
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস টাকার বিনিময়ে এবং নিজের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ফ্যাসিবাদের দোসর আওয়ামী দুর্বৃত্তদের দলে টানছেন এমন একটি অভিযোগ উঠেছে । এতে দলের নিবেদিতপ্রাণ ১৬ বছর নির্যাতিত জেল-জুলম হুলিয়ার শিকার রাজপথের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ। কারণ যারা এতদিন বিএনপিসহ বিরাধী দলকে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তাদের দলে নেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জেলা কাউন্সিলর আগেই এ নিয়ে তথ্য-প্রমাণসহ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বরাবর দরখাস্ত জমা দেন।
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কালিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি নিয়ে নানা টালবাহানার অভিযোগ করেছেন দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তারা জালজালিয়াতি করে কমিটিতে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কয়েকজনকে উপজেলা ও পৌর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে জেলা কমিটি অনুমোদন দেয়। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে সেখানে আওয়ামী লীগের আটজনকে কালিয়া উপজেলা ও পৌর কমিটিতে ঢোকানো হয়। ৬ জানুয়ারী ২০২৫ কালিয়া উপজেলা বিএনপির অনুমোদিত কমিটিতে আওয়ামী লীগের যে নেতারা স্থান পায়, তারা হলো ১. এড. এ এস এম সাইফ আহমেদ হিরক (আইনবিষয়ক সম্পাদক), ২. মো. জামেরুল ইসলাম (মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক), ৩. মোল্লা জাকির হোসেন (সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক), ৪. মো. মিলু মল্লিক (সদস্য), ৫. মো. রাফিকুজ্জান (সদস্য)। ৬. কালিয়া পৌর কমিটিতে আনিসুর রহমান মাহরূফ (সদস্য) প্রমুখ। আর ১১ জুন ২০২৫ কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মনিরুল ইসলাম বিএনপিতে যোগ দিলে পরদিন ১২ জুন ২০২৫ আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করে। বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিতেও একইভাবে আওয়ামী লীগের লোকজনকে রাখে তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। এর প্রতিবাদের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নিয়ম মেনে ত্যাগী-নেতা-কর্মীরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচির ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর দরখাস্ত করেন। ত্যাগী-নেতা-কর্মীদের পক্ষে দরখাস্তে স্বাক্ষর করেন কালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার হোসেন ও কালিয়া পৌর সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ইউসুফ।
দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাট ও তার সফর সঙ্গী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের নড়াইল জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আসাবুর রহমান আরাফাত ১৮ মে বেলা ২টায় বেন্দারচর সোলাবিল মাঠে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার সময় যোগানিয়া বাজার মোড়ে তাদের উপর হামলা হয়। একদল লোক রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বন্দুক, শর্টগান, রাম দা, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। এ সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আবদুল লতিফ সম্রাটকে মারাত্মক জখম করে। এ সময় ব্রিফকেসসহ নগদ তিন লাখ টাকা, ১১৫০ ইউএস ডলার ও সিটিব্যাংক, ক্যাপিটাল ওয়ান, ডেভিড ও ক্যাডিট কার্ড, দুটি আইফোন ফিফটিন প্রোমেক্স, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ নিউইয়র্ক সিটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। আক্রান্ত আবদুল লতিফ সম্রাটকে দুর্বৃত্তদের কবল থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক ও আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ এর নড়াইল জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আসাবুর রহমান আরাফাত কে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পরে তার মাথায় ১৬টি সেলাই দিতে হয়। এই সময় হামলায় তার সফরসঙ্গী ২৩ জন আহত হন। আর হামলার নেতৃত্ব দেয় জেলা বিএনপির সভাপতির জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের ছোট ভাই মিঠু বিশ্বাস। এ সময় আওয়ামী লীগের যেই নেতারা ইতিমধ্যে বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে স্থান পেয়েছে হয়েছে, তারা ওই হামলায় অংশ নেয়। এই ব্যাপারে গত ২৩ মে নড়াগাতি থানায় ৭৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যাচেষ্টা ও লুটের মামলা করা হয়। মামলা নং ০৫।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাট এ ব্যাপারে বলেন, আমরা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। বিশ্বব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছি। জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, হোয়াইট হাউজসহ সর্বত্র এক/এগারো থেকে শুরু করে খুনী হাসিনার পতন পর্যন্ত মাঠে ছিলাম। পট পরিবর্তনের পর নিজের দেশে এলে বিপুল সংবর্ধনা ও সম্মান পাই। কিন্তু নিজের এলাকার বেন্দারচর ষোলাবিল মাঠে শত বর্ষের ঐতিহাসিক ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় আকস্মিকভাবে হামলার শিকার হই। আর এ হামলার নেতৃত্ব দেয় জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের আপন ছোট ভাই আসজাদুর রহমান মিঠু বিশ্বাস। আর জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নির্দেশে এ হামলা করা হয় বলে স্থানীয় বিএনপি আমাকে জানায়। আমার নিজের এলাকায় বিনা কারণে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হব, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। আশা রাখি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি এ ন্যক্কারজনক হামলার সঙ্গে যুক্তদের এবং নির্দেশতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাটের উপর গত ১৮ মে ন্যক্কারজনক হামলা এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, খুনি ও চাঁদাবাজদের দলে স্থান দেওয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে পিএনপির চেয়ারম্যান ও বিএনপি জোটের নেতা সুপ্রিম কোটেৃ আইজীবী ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশ আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। অথচ এখানে বিগত দিনে অত্যাচার-নির্যাতনে যারা বেপরোয়া ছিল, তাদের কমিটিতে নেওয়া দুঃখজনক।
কালিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম রেজা ইউসুুফ বলেন, আমাদের দেওয়া তালিকা রদবদল করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ফ্যাসিস্টের অসংখ্য লোকজনকে উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর দীর্ঘদিন জেল, জুলুম, হামলা-মামলার শিকার দলের নিবদিত নেতা-কর্মীদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি। প্রায় এক ও অভিন্ন কথা বলেন কালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার হোসেন। কমিটি নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জেলা ও উপজেলা কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে পুনর্গঠনের আহ্বান জানান।
বি এম বাকির হোসেন স্মৃতি সংস্থা‘র সভাপতি ও জিয়া পরিষদের নেতা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বি এম নাগিব হোসেন বলেন, এখানে কমিটি নিয়ে বাণিজ্য হয়েছে। দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষা করে যা করা হচ্ছে, এটা কাম্য নয়। এতে দলের ভাবমূতি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সিনিয়র সহ-সভাপতি নড়াইল জেলা বিএনপি ও সাবেক পৌর মেয়র অসংখ্য মামলায় হয়রানির শিকার জুলফিকার আলী মণ্ডল বলেন, জেলা কমিটি আমাদের সঙ্গে দেওয়া কথা রাখেনি। আমি দলীয় কাউন্সিলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি উপস্থিতিতে বলেছিলাম বিগত সতেরো বছর যাদের অত্যাচারে আমরা ঘর ছাড়া ছিলাম, তাদের ভোটেই এখন আমাদের নেতা নির্বাচিত করতে হচ্ছে এটা কষ্টদায়ক, আমাদের কমিটি নিয়ে নয়-ছয় করেছেন। আমাদের দেওয়া কমিটিতে তারা রদবদল করেছে। এতে দলের নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। কারসাজির মাধ্যমে আমাদের অজ্ঞাতে সেখানে স্বৈরাচারের দোসরদের ঢোকানো হয়েছে। যারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাটের উপর সাঁড়াসী আক্রমণ করেছিল, ফ্যাসিস্টের সেই দোসরদেরও কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা এতে বেশি ক্ষুব্ধ। মূলত দলে নিজের শক্তি বৃদ্ধির জন্য এভাবে আওয়ামী লীগের লোকজনকে কমিটিতে ঢোকান জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।
নড়াইড়ের কৃতিসন্তান ইউ এস টেক্সাস বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির বলেন,সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এব স্বৈরাচারী হাসিনার দলের লোকজনকে যারা বিএনপিতে পদ দিয়েছেন তাদের সবাইকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি করেন। গত ১৩/১৪ বছর নড়াইল জেলা বিএনপি অফিস খুলে জাহাঙ্গীর বিস্বাস একদিনের জন্যও দল পরিচালনা করেন নাই। বরং কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রিন্সের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি তার বাড়ীতে উপজেলা ও পৌর কমিটির কর্মী সভায় নির্দেশ দেন। জাহাঙ্গীর বিশ্বাস এক দিনের জন্য জেল খাটে নাই আওয়ামী সখ্যতার কারনে। যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেন নাই সেখানে জাহাঙ্গীর আওয়ামী সমর্থনে গত ১৪/১৫ বছরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আংগুল ফুলে শতগুন বেড়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সংসদে ও সভা-সমাবেশে দেশনেত্রী কে নিয়ে কুৎসিত বক্তব্য রাখা সাবেক এমপি ফজিলাতুন নেছা বাপ্পির সঙ্গে একাধিক সভায় বক্তব্য রাখেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন কালিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রাথী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সসাথে তার বাড়ীতে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সবার হাতে হাতে,এমনকি স্থানীয় নড়াগাতি ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা চুন্নু শেখসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে তার দহরমহরম সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মজার ব্যাপার হলো, তিনি বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামের সময় কখনো রাজপথে ছিলেন না এমন কি এক দিন ও জেল খাটেন নি। এই সম্পর্ক বজায় রেখে তিনি দলীয় নেতাদের বিভিন্ন সময় সাইজ করতেন। আর সর্বশেষ তার টার্গেটে পরিণত হন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাট।
জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বেচ্ছাচারিতা ও আওয়ামী তোষণের কারণে এসব কারণে নড়াইল বিএনপিতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। কমিটিতে দীর্ঘদিন রাজপথে থাকা ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হওয়ায় তারা তার উপর ক্ষুব্ধ। টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে কমিটিতে স্থান দেওয়ায় তারা আরো বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের আশঙ্কা ও স্থানীয় ত্যাগী নেতাদের অনুরোধে ২৪ জুন (মঙ্গলবার) নড়াইল সফর বাতিল করেছেন বিএনপির যুক্তরারাজ্য শাখার সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক।
উল্লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ফোন ধরেননি।