
আবু ইউসুফ মনোহরগঞ্জ কুমিল্লা
জলাবদ্ধতা নিরসণে মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে খালের উপর অবৈধ ভাবে নির্মিত বাঁধ ও স্থাপনা অপসারণ করেছে মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (১২জুলাই) সকাল থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে উপজেলার হাসনাবাদ, নাথের পেটুয়া ও উত্তর হাওলা ইউনিয়নের অন্তত ১২টি অবৈধ বাঁধ এবং বেশ কয়েকটি স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় – এক সময় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলাটি জলা অঞ্চল নামে খ্যাত ছিল।দীর্ঘ এক দশক থেকে বর্ষার সময় পানি তেমন না হওয়ায়, পানি চলাচলের মাধ্যমগুলোতে দখলদাররা অবৈধভাবে বাঁধ ও স্থাপনা নির্মাণ করে ফেলেছে।
২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় সমস্যাগুলো পুনরায় পরিলক্ষিত হয়েছিলো। চলতি বছরেও গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নাগরিকদের জীবন যাপনের স্বাভাবিকতা রাখতে শনিবার সরকারি ছুটি বাতিল করে এস্কেভেটর মেশিনের সাহায্যে অন্তত ১২টি অবৈধ ভাবে নির্মিত বাঁধ ও বেশ কয়েকটি স্থাপনা অপসারণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা যায়- আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে সরকারি খালের উপর নির্মিত অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা গুলো অপসারণ করা হবে।
অভিযানে আরে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম মজুমদার,পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ শাহাদাত হোসেন, উপজেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম , সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও সচিব এবং ভূমি কর্মকর্তাগণ(তহসিলদারগণ) প্রমুখ।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি বলেন -আমি মনোহরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা অপসারণে কাজ করে যাচ্ছি। বর্ষার শুরুতে উপজেলা জুড়ে সরকারি সকল খাল ও ডোবা-পুুকুরে কচুরিপানা, ভেসাল, অবৈধ স্থাপনা সরানোর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায়,বর্তমান কর্মসূচিটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ অভিযানে সরকারি স্বার্থ বজায় রেখে অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।