গোপালগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে আল্লামা ইমাম হায়াতের উদ্বেগ প্রকাশ

রবিবার, জুলাই ২০, ২০২৫

জাতির সংবাদ ডটকম।। 

আমরা মানবতার রাজনীতির দল ইনসানিয়াত বিপ্লব আওয়ামীলীগের মতবাদের বিরোধী এবং আওয়ামীলীগের রাজনীতির বিরুদ্ধে আদর্শিক সংগ্রাম করি, কিন্তু সব মানুষের জন্য জীবনের স্রষ্টাপ্রদত্ত ও স্রষ্টার মহান রাসুল প্রদত্ত সমান নিরাপত্তা-স্বাধীনতা-অধিকারে বিশ্বাস করি, কেউ আওয়ামীলীগ বা ক্ষমতাসীনদের বিরোধী হলেই তাকে মেরে ফেলতে হবে এটি আমরা রাজনীতি নয় খুনি দস্যুতন্ত্র সন্ত্রাসবাদ হিংস্র স্বৈররাজনীতি চরম অপরাধ মনে করি তীব্র ঘৃনা ও প্রতিবাদ করি। আওয়ামীলীগের অন্যায় অবিচার স্বৈরাচার অপরাধ অবশ্যই আছে তবে এসব অপরাধ থেকে অন্য দলগুলোও মুক্ত নয়, সব দলের হাতই রক্তাক্ত, সব দলেরই খুন জুলুম সন্ত্রাস স্বৈরদস্যুতার অপরাধ আছে, বিশেষভাবে সব দলের খুন সন্ত্রাস অপরাধ একত্র
করলেও রাজাকার দলের সমান হবে না। পাঁচ ই আগস্ট শত শত পুলিশ ভাইদের ওরা জবাই করে ও জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করছে।

ধর্মের মৌলিক সত্যের ধারক ও মানবিক মানুষ হিসেবে
আমাদের মৌলিক নীতি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল প্রাণাধিক প্রিয়নবী রাহমাতাল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রহমতময় হুকুম ও বিধান
মোতাবেক সবার বাঁচার সমান অধিকার এবং রাষ্ট্রের মালিক সব মানুষ, রাষ্ট্র সবার সব মানুষের, রাষ্ট্র এক ধর্ম এক জাতি এক মতবাদ এক গোষ্ঠীর এক দলের নয়, রাষ্ট্র হবে একক গোষ্ঠীর স্বৈরদস্যুতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্র, একক গোষ্ঠীর স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক জবরদখল রাষ্ট্র নয়।

কেউ ক্ষমতাসীনদের ধর্ম মত পথের বিরোধী হলে হত্যা করে ফেলতে হবে, নাগরিকত্ব হরন করতে হবে, ভোটাধিকার হরন করতে হবে, ঘরবাড়ী অগ্নিসংযোগ করতে হবে, শিল্প কারখানা দোকানপাট সহায় সম্পদ লুট ডাকাতি করতে হবে, বিতাড়িত করতে হবে, চাকুরিচ্যুত করে রুটি রুজি জীবিকা হরন করতে হবে এবং এসব ভয়ংকর অপরাধে রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশ সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত অপব্যবহার করা হবে- এসব হিংস্র পাশবিক ঘৃন্য স্বৈররাজনীতিকে আমরা শুধু জীবনবিণাশী ও রাষ্ট্র ধ্বংসাত্মক নয় স্বয়ং আল্লাহতাআলার বিরুদ্ধেই যুদ্ধ মনে করি।

গোপালগঞ্জে নিরস্ত্র জনগণকে এমনকি শিশুদের পর্যন্ত ধরে যেভাবে সেনাবাহিনীকে অপব্যবহার করে এনসিপি দুর্বৃত্তচক্র তথা সরকার খুনি ইসরাইলী বাহিনীর মত গুলি করেছে তা ক্ষমতার বলে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ।

সেখানে জংগীবাদ রাজাকারদের গোপনাংগ মবসন্ত্রাসী এনসিপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদি জনগণ পুলিশ বা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে নামে নাই গুলিও করে নাই বা কোনো ক্রস ফায়ার হয় নাই।
আমরা humanity revolution ইনসানিয়াত বিপ্লব জনগণের জীবন রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের সমগ্র জনগণের আস্থাস্পদ শেষ ভরসা সেনাবাহিনীকে রাজাকারদের গোপনাংগ ক্ষমতাসীন হিংস্র পাশবিক স্বৈররাজনীতির রাষ্ট্র জবরদখল ও গণতন্ত্র হত্যার রাষ্ট্রীয়সন্ত্রাসে অংশ ও তাদের খুন স্বৈরদস্যুতায় অপব্যবহার সহযোগি না হবার আকুল আবেদন করছি। যত কথাই বলা হোক অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের কোনো বৈধতা নাই। বিগত সরকারের পতনের পর সাংবিধানিক আইনগত বৈধ একমাত্র অথরিটি রাষ্ট্রপতিই সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে সাংবিধানিক জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দেশে নির্বাচনী সরকার গঠন ছিলো রাষ্ট্র ও জনগণের জানমাল ইজ্জত রক্ষার একমাত্র বৈধ সরকার। কোনো সন্ত্রাসী গ্যাংএর চাপের মুখে রাস্তা থেকে তুলে এনে কাউকে শপথ পাঠ করিয়ে ঘোষণা করে দিলেই বৈধ আইনানুগ সরকার হয় না, রাষ্ট্র রক্ষা হয় না। এখন যে ধ্বংসাত্মক চরম ভূল হয়ে গেছে তা থেকে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র এবং জনগণের জীবন রক্ষার একমাত্র পথ- অবৈধ ষড়যন্ত্রের চক্রকে প্রশ্রয় না দিয়ে রাষ্ট্র জবরদখল ও গণতন্ত্র হত্যায় তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অংশ না হয়ে সরকারকে পক্ষপাতমুক্ত ও দলনিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকারে পরিণত করে অবিলম্বে প্রকৃত নির্বাচন, প্রহসণের নির্বাচন নয় জালিয়াতির নির্বাচন নয়। এস্তনিয়ার মত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করলেই কেবল দেশের ভিতরের বাইরের সব নাগরিক নিরাপদে ঘরে বসে যার যার ভোট দিতে পারবেন। কারন জংগীবাদের পক্ষপাতদুষ্ট এ সরকার জননিরাপত্তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেশকে মবসন্ত্রাস জংগীবাদের গুন্ডাতন্ত্রে খুনতন্ত্রে আতংকের ভয়ংকর জনপদে পরিণত করেছেন।