মাহেরীন একজন গর্বিত মা ও যোদ্ধা: আফরোজা আব্বাস

শনিবার, জুলাই ২৬, ২০২৫


জাতির সংবাদ ডটকম।।

‎‘মাহেরীন চৌধুরী শুধু একজন শিক্ষিকা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন মা, একজন যোদ্ধা এবং নারী সমাজের আলোকবর্তিকা’—এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

‎শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী চৌধুরীপাড়ায়, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর এসব কথা বলেন তিনি।


‎আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘মাহেরীন তার ছাত্রছাত্রীদের রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করে প্রমাণ করে গেছেন—একজন শিক্ষক কীভাবে দায়িত্ব, ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারেন। তিনি ছিলেন আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ এক মা, যিনি নিজের রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও শিশুদের প্রতি মমতা ও দায়িত্ববোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

‎তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের ভয়ে, জিয়া পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও মাহেরীন নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন। পরিচয় প্রকাশ পেলে হয়তো চাকরি হারানোর ভয় ছিল। কিন্তু সেই ভয়ের পরোয়া না করে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে গেছেন নিঃস্বার্থভাবে।’

‎আফরোজা আব্বাস দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাহেরীন চৌধুরীকে এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো হয়নি। অথচ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাকে নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক আলোচনা ও প্রশংসা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় পর্যন্ত তাকে সম্মান জানানো হয়েছে, অথচ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য এখনো অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।’

‎তিনি বলেন, ‘পাইলটের আগেই মাহেরীন চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ছিল। তাকে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে ঘোষণা করা সময়ের দাবি। যদিও অনেক দেরি হয়েছে, তবুও এখনো সময় আছে—তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত।’

‎আফরোজা আরও বলেন, ‘সরকার কী দিলো না দিলো, সেটি মুখ্য নয়। মাহেরীন চৌধুরী আজ নারী সমাজের অনুপ্রেরণা। তার আদর্শই আমাদের আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে।’

‎আফরোজা আব্বাস জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তারা মাহেরীনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এসেছেন।

‎শ্রদ্ধা জানাতে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি তাসনিম ফৌজিয়া ওপেল, সাধারণ সম্পাদক রুপা, রংপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট জিনাত ফেরদৌস রোজিসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।