এসি ল্যান্ড মনিরুজ্জামান পাল্টে দিয়েছেন সাঁথিয়া ভূমি অফিসের দৃশ্যপট

রবিবার, মার্চ ১২, ২০২৩

সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতা :ভূমি অফিসের দৃশ্যপট পাল্ট দিয়েছন সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান। এখন এ অফিসে নাই হয়রানি, নাই দালালি, নেই দৌরিত্য।। দ্রুততার সাথে মিলছে সেবা। শুধু তাই নয় অফিসটির বাহ্যিক পরিবেশও এখন আকর্ষনীয়।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালে ২৫ জুলাই সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরুজ্জামান সাঁথিয়া উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই ভূমি উন্নয়ন কর (রাজস্ব) আদায়ের পাশাপাশি মাত্র অল্প সময়ের মধ্য বিপুল সংখ্যক নামজারি নিষ্পত্তি করে গত এক বছরে ধরে জেলায় শীর্ষস্থান ধরে রাখেছেন। একটা সময় ছিল নিজের জমি নামজারি(খারিজ) করতে সময় লেগে যেত ৬ মাস থেকে এক বছর। সেই খারিজ সম্পন করতে এখন সময় লাগছে সর্বোচ্চ ২৫ দিন। যেটি সরকারের বেধে দেওয়া সময়ের চাইতে কম সময় সম্পন হচ্ছে।

 

ভূমি অফিস আসা জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে,আগে দালালদের পিছনে ঘুরে ঘুরে জমির নামজারি বা অন্যান্য কাজ করতে হতাে। তাদের মনে ছিল ক্ষোভ। তাদের অভিযোগ জানানোর মত জায়গা ছিল না। কিন্তু সব নেতিবাচক ধারণা পাল্টে দিয়াছেন সহকারী কমিশনা মো: মনিরুজ্জামান। তিনি তার মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে খোলস পাল্টে দিয়েছেন অফিসটির।

 

ভূমি অফিসের চতুরদিকে ছায়াঢাকা পরিবেশ। ভেতরের পরিবশটিকে মােহনীয় করা হয়েছে। করা হয়েছে ফুলৱ বাগান, গাড়ি রাখার জায়গায় শাক সবজি আবাদ, জমাজমির নানা কাজ করার জায়গা বা আপেক্ষার জন্য গোল ঘরটিকে টাইলস দ্বারা আবৃত করা হয়েছে। ভূমি অফিসের ভিতরের ডিজাইনের কাজটিও সম্পন করা হয়েছে। এছাড়া সেবা প্রত্যাশী জনসাধারণের জন্য অফিসের ফুটপাতের অংশটুকুও আকর্ষণীয় করতে টাইলস দ্বারা বাধানো হয়েছে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা একটু অপেক্ষা করে তাদের সেবা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন। বিরক্তির লেশমাত্র তারা অনুভব করছেন না। কারণ এখানে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তিনি বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে আগত দের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলার সবগুলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছেন তিনি । যাতেকরে আগত জনগণ কেমন সেবা পাচ্ছেন তা মনিটরিং করা যায়।

 

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানা গেছে, গৌরীগ্রামের ৫২ বিঘা খাস জমি উদ্ধার করা ভূমি অফিসের জন্য একটি চ্যালঞ্জ ছিল। সহকারী কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান সেটা করে দেখিয়েছন এবং প্রতারকদের আইনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। ইকরজানায় প্রায় ১ বিঘা খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি আগামী বছর থেকে ইজারা দেওয়া হবে। এ কাজগুলো তিনি করেছেন। এছাড়াও সাঁথিয়া পৌরসভায় দুটি পুকুর উদ্ধার করে একটি নিজ দেওয়ার কাজ চলছে। আরেকটি এরই মধ্যে খাস করা হয়েছে। এটি অনেক সাহসিকতার সাথে করা হয়েছে বলে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারিরা জানান।

 

এদিকে উপজেলা ভূমি অফিग নামজারি ২৫ দিনের মধ্য সম্পন করছেন এক্ষত্রে জেলার মধ্য গত ১ বছর ধরে সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিস কম সময়ে নামজারিকরণে শীর্ষ হয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় গত দু সপ্তাহ প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

 

সেবা প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো মনিরুজ্জামান আসার পর থেকে জনগণ সহজে সেবা এবং ভূমি সংক্রান্ত সঠিক পরামর্শ পাচ্ছেন। ভূমি সংক্রান্ত জটিল বিষয়গুলো সহকারী কমিশনার কে বলা মাত্রই তিনি সহজ সমাধান করে দিচ্ছেন ও সঠিক পরামর্শ প্রদান করছেন। যাতে কোন দালাল কিংবা কাউকে কোন টাকা না দিতে হয় এবং জনগণকে সরাসরি তার অফিসে এসে ভূমি সেবা নিতে বলছেন তিনি। বামনডাঙ্গা গ্রামের সাগর হোসেন, পদ্মবিলা গ্রামের হাফিজুর রহমান,আব্দুল গফুর জানান, তারা কোন টাকা পয়সা ও হয়রানি ছাড়া ভূমি অফিস থেকে সেবা পেয়েছেন। এতে তারা খুব খুশি বলে জানান।

 

সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মনিরুজ্জামান জানান, তিনি সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছেন মাত্র। তিনি জানান, আমি চাই সততার সাথে কাজ করতে এবং সর্বাচ্চ সেবা নিয়ে জনগণের ভোগান্তি লাঘব করতে। আবার জমি- জমা নিয়ে জালিয়াতি বা কেউ যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেটি প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। তিনি জানান,এ সব কাজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সহযাগিতা পেয়েছি।