
ক্রীড়া ডেস্ক: এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে লাওসকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ। মূল পর্বে খেলার আশা টিকিয়ে রাখতে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে আফাইদা খন্দকারদের। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ ৪-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে দৃষ্টিনন্দন ‘অলিম্পিক’ গোল করেছেন শান্তি মারডি। আজ ৩২ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি। ডান প্রান্ত থেকে তার নেয়া কর্ণার কিক সরাসরি জালে জড়ায়।
কর্ণার থেকে কোনো ফুটবলারের স্পর্শ ছাড়া সরাসরি বল জালে জড়ালে সেটা অলিম্পিক গোল হিসেবে আখ্যায়িত হয়। শান্তির গোলটি সেই রকমই। তার নেয়া কর্ণার কিকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ও সতীর্থ ফরোয়ার্ড বক্সে লাফিয়ে উঠলেও কেউই স্পর্শ করতে পারেননি। গোলরক্ষকও বলের ফ্লাইট মিস করেন। বল সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সাইড পোস্টের ভেতরে গেলে জালে প্রবেশ করে।
তিন মিনিট পর একই প্রান্তে বাংলাদেশ আবার কর্ণার পেয়ে আরেকটি গোল করে। এবার গোলের যোগানদাতা শান্তি। তার নেয়া কর্ণারে বক্সের মধ্যে নবিরুন খাতুন হেড করে গোল করেন।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চারটি গোলের তিনটিই কর্ণার থেকে। ২০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে স্বপ্না রাণীর কর্ণারে শিখা হেডে বল জালে জড়ান। বা প্রান্তে স্বপ্না আর ডান প্রান্তের কর্ণার কিকগুলো শান্তি নিয়েছেন। বাংলাদেশ এই পরিকল্পনায় তিন গোল আদায় করেছে।
ম্যাচের ত্রিশ মিনিটের সময় কুলিং ব্রেক ছিল। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময় একটু বেশি ছিল। বিরতিতে যাওয়ার আগে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণে তৃষ্ণা বক্সের মধ্যে এক প্লেসিংয়ে গোল করেন। এতে বাংলাদেশ ৪-০ গোলের লিড নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরে।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে স্বাগতিক লাওসকে পরাজিত করেছে। আজ তিমুরলেস্তেকে বড় ব্যবধানে হারানোর পরিকল্পনা বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হারলেও যেন গোল ব্যবধানে বাংলাদেশ অন্য গ্রুপের রানার্স আপ দলের চেয়ে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। কারণ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের পাশাপাশি তিন সেরা রানার্স আপ দলও আগামী বছর মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।