ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষন “বাঁশের সাঁকোটি মৃত্যু ফাঁদ “

সোমবার, আগস্ট ১১, ২০২৫

শেখ আব্দুস সালামঃ
খুলনা জেলার অন্তর্গত ডুমুরিয়া উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়ন। ৯ টি ওয়ার্ডে বিভক্ত নদী বেষ্টিত এই ইউনিয়নটির চারি পাশে কালের বির্বতনে ব্রীজ-কালভার্ট, নির্মাণ হওয়ায় উপজেলা সদর ও পার্শ্ববতী এলাকা সমুহের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদুর প্রসারী হলেও ইউনিয়নের ভিতরে এলাকা মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে। ইউনিয়টির তিন এর দুই অংশের মধ্যভাগে হাতীটানা নামক নদী (বর্তমান বদ্ধ জলমহল) থাকায় তিনটি ওয়ার্ডের বসবাস মানুষ সুষ্ঠ যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এই হাতীটানা নদীর উপর দীর্ঘকাল দু’পারের কেয়ারের রাস্তার সংযোগের মাধ্যম একটি বাঁশের সাঁকো। ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে বসবাসকারী মানুষের ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে, ছেলে মেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। মৃত্যু ফাঁদ খ্যাত ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের তৈরি সাঁকোর উপর দিয়ে নদী পারাপার খুবই বিপজ্জনক। এই সাঁকো দিয়ে আবাল বৃদ্ধ বনিতার পারাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হয়। সামান্য অসাবধানতায় যে কাউকে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এমনকি আছে জীবন হানীর আশংকা। সাধারণত বর্ষাকালে এই ঝুঁকি আরো বাড়ে তাই বাঁশের সাঁকোটি মৃত্যু ফাঁদ হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত।
প্রতিদিন এই বাঁশের তৈরি সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ রোগী, ভারবাহী কৃষক সহ সর্বস্তরের মানুষ। এছাড়াও পাশ্ববর্তী গ্রামের মানুষও কম সময়ে এবং সহজে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে এই সাঁকোটি ব্যবহার করে থাকে। বর্ষাকালে অনেক সময় অতিবর্ষণে বাঁশের সাঁকোটি নদীতে ভেসে যায় অথবা ডুবে যায়। তখন এলাবাসীকে পাঁচ মিনিটের পথ এক দেড় ঘন্টা সময় ব্যায় করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। কোন আপদ বিপদেও একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে যেতে বড় বাঁধা এই সাঁকোটি।
স্বাধীনতা পরবর্তী থেকে অদ্যাবধি এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ অনেক চেস্টা তদবির করলেও এই সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি। বাঁশের তৈরি সাঁকোটির স্থলে পাকা সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অনেক মন্ত্রী এমপি আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হযনি আজও।
ইউনিয়নটির মধ্যে ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের মানুষ সর্ব দিক দিয়ে হয়ে চলেছে বৈষম্যের শিকার। নেই ভাল রাস্তাঘাট, এ্যাবড়ো থ্যাবড়ো ইট বসানো পায়রে হেটে চলা দুস্কর, অতি বৃস্টিতে তা আবার ডুবে যায়। ওয়াবদার রাস্তা কিছুটা পিচ হলেও তা কোন কাজে আসছে না।
বর্তমান বাঁশের সাঁকোটি আশু সংস্কারসহ সাঁকোটির স্থলে একটি পাকা সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হোক ভুক্তভোগী মানুষের প্রানের দাবী। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলার মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বাঁশের তৈরি সাঁকোটির স্থলে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে গ্রামবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও নিরাপদ হবে এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে।
এ ছাড়া পল্লীশ্রী স্কুল হতে বৈঠাহারা ওয়াবদা ও চিত্রামারী হাতীটানা নদীর পাড়ের রাস্তাটির বেহাল দশা, মাগুরখালী বাজার থেকে কাঞ্চননগর বাজার পর্যন্ত পীচের রাস্তায় আর পীচ নেই, যত্রতত্র বড় বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। তালতলা ব্রীজ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে শীবনগর পর্যন্ত একই অবস্থা যা দেখার কেউ নেই।