নুরুল আলম, মিরসরাইঃ
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা বিএনপির ১৩ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার তাঁরা স্থায়ী জামিনের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতারা হলেন–চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল আউয়াল চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মিরসরাই পৌর বিএনপি আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফছার জুয়েল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মাহমুদ, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দীন, বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দীন লিটন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি নুরুল আলম কমান্ডার, মিরসরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর শরিফ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক শওকত আকবর সোহাগ, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন রুবেল, মিরসরাই পৌর যুবদলের সদস্যসচিব বোরহান উদ্দীন সবুজ ও হিংঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী সালেহ আহম্মদ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন বলেন, ‘বিএনপির নেতারা উচ্চ আদালত থেকে পাওয়া জামিনের শেষ দিন আজ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন না মঞ্জুর করে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘দলের সিনিয়র নেতাদের আগাম জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানাই। অবিলম্বে তাদের মুক্তি না দিলে উত্তর জেলা বিএনপি রাজপথে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কখনো কোনো সরকারের পুলিশ ও আদালতকে দলীয় করণ করে দমন পীড়ন চালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি। এই সরকারেরও হবে না। তাদের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। আন্দোলন গ্রেপ্তার জেলকে বিএনপি নেতা–কর্মীরা ভয় পায় না। আগামীতে আন্দোলন আরও কঠোর হবে। সে আন্দোলনে ভেসে যাবে সরকারের অবৈধ মসনদ।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার এই মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে চারটি মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।