মিরসরাই উপজেলা বিএনপির ১৩ নেতাকে মুক্তির দাবিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতি 

মঙ্গলবার, মার্চ ১৪, ২০২৩

 

নুরুল আলম, মিরসরাইঃ

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী সহ ১২ জন বিএনপি নেতাকে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে এক বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো: তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ‘বিএনপির নেতারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদের শেষ দিন মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তাঁদের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক দলন-পীড়ণের অংশ হিসেবে

নেতৃবৃন্দকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডে দন্ডিত করছে আওয়ামী সরকার। আইন আদালতকে

কব্জায় নিয়ে মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে হরণ করে বানোয়াট ও কাল্পনিক মামলায় বিএনপি

নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে সাজা প্রদান বর্তমান সরকারের ঘৃন্য অপকর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই অপকর্মের অংশ হিসেবেই নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির আহবান জানাচ্ছি।” আবদুল আউয়াল চৌধুরী-সদস্য চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি, শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী-আহবায়ক মিরসরাই উপজেলা

বিএনপি, মহিউদ্দিন-আহবায়ক মিরসরাই পৌর বিএনপি, জাহিদুল আফছার জুয়েল-সভাপতি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদল, মাঈন

উদ্দিন মাহমুদ-সদস্য মিরসরাই উপজেলা বিএনপি, গিয়াস উদ্দীন- সদস্য মিরসরাই উপজেলা বিএনপি, মাঈন উদ্দীন লিটন-

সাবেক সভাপতি বারৈয়াহাট পৌর বিএনপি, নুরুল আলম কমান্ডার-সহ সভাপতি চট্রগ্রাম উত্তর জেলা যুবদল, ওমর শরিফ-আহবায়ক মিরসরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল, শওকত আকবর সোহাগ-যুগ্ম সম্পাদক চট্রগ্রাম উত্তর জেলা যুবদল, সরোয়ার হোসেন রুবেল-আহবায়ক মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদল, বোরহান উদ্দীন সবুজ-সদস্য সচিব মিরসরাই পৌরসভা যুবদল, কাজী সালেহ আহম্মদ-আহবায়ক ২ নং হিংঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলায় হাইকোর্টের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, “নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকার এখন ফ্যাসিবাদের চরম মাত্রায় এসে

উপনীত হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত রাখতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা

দায়ের এবং আদালত কর্তৃক জামিন নামঞ্জুর বর্তমান আওয়ামী সরকারের প্রাত্যহিক কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশকে বিরোধী দলশুন্য করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন কারণ ছাড়াই মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে। ভুয়া, বানোয়াট ও

সাজানো মামলায় উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ বর্তমান গণধিকৃত সরকারের ধারাবাহিক অপকর্মেরই

অংশ। দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যূৎ এর লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ দূবির্ষহ অবস্থার মধ্যে নিপতিত। রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখার হিড়িক শুরু হয়েছে। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন নীতিরই ধারাবাহিকতা। তবে সকল অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণ এখন

ঐক্যবদ্ধ। জনগণের নিকট ক্ষমতা ছেড়ে না দিলে অবৈধ সরকারের ক্ষমতার মসনদ যেকোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়বে।”

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার এই মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে চারটি মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।