
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ছয় সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন, দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত এল ইখবারিয়া টিভি এ খবর জানিয়েছে।
গণমাধ্যমটি বুধবার ভোরে জানায়, ইসরায়েলি ড্রোনগুলো দামেস্কের দক্ষিণে আল-কিসওয়াহ শহরের কাছে সিরীয় সেনাবাহিনীর অবস্থানে হামলা চালায়।
এই হামলার সময় চলছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস সংক্রান্ত আলোচনা। বিশেষ করে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, এই চুক্তি হলে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে অগ্রগতি হতে পারে।
গত ডিসেম্বর বাশার আল আসাদের সরকার পতনের পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ার ভেতরে একের পর এক বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মূল লক্ষ্য সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করা।
এছাড়া ইসরায়েল সম্প্রতি গোলান মালভূমিতে নিজেদের দখল আরও জোরদার করেছে। এমনকি ১৯৭৪ সালের সিরিয়া-ইসরায়েল চুক্তিতে নির্ধারিত অসামরিক বাফার জোনের ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ করছে সিরিয়া।
সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার ইসরায়েলি সেনারা মাউন্ট হেরমনের কাছে তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং প্রায় ৬০ জন সেনা মোতায়েন করে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি একটি নিয়মিত সামরিক তৎপরতা ছিল এবং তা বেইত জিনন এলাকায় নয়। বেইত জিনন হলো লেবাননের সীমান্তবর্তী একটি স্পর্শকাতর এলাকা, যা মাউন্ট হেরমনের কাছেই অবস্থিত।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এই ধরনের আগ্রাসন শুধু সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি সরাসরি হুমকি।”
সূত্র: টাইমস অফ ইসরায়েল