
জাতির সংবাদ ডটকম।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি (সহসভাপতি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে বুধবার (২৭ আগস্ট) আদালতে হাজির করা হয়।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জালাল আহমদ হলেন টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম বিভাগের শিক্ষার্থী। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন একই হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রবিউল হক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, জালাল ও রবিউলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কথাকাটাকাটি চলছিল। ঘটনার রাতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় জালাল উত্তেজিত হয়ে রবিউলকে ‘অবৈধ’ ও ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করেন এবং পরে ছুরিকাঘাত করেন।
আহত রবিউল বলেন, “আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। সে এসে লাইট অন করে শব্দ করতে থাকে। বাধা দিলে সে আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।”
ঘটনার পরপরই হল প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশ জালালকে হেফাজতে নেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ড আবেদনসহ পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এ ধরনের ভয়ানক আচরণ কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য নয়। অভিযুক্তকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ছাত্রত্ব বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, “ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হবে। জালালের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। এবার সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে এই ঘটনার কোনো প্রভাব পড়বে না।”
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে হলের শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রক্টর জানান, শিক্ষার্থীরা যদি উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাদের দাবিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করে, তাহলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।