জামালপুর পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি জনবিশ্লেষণ

বুধবার, আগস্ট ২৭, ২০২৫

 

জামালপুর প্রতিনিধিঃ-

জামালপুর পৌরবাসীর দুঃখ অসহনীয় জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যপক ভিত্তিতে কাজ শুরু হয়েছে। কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনী ঘোষণা করেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ।
মঙ্গলবার একযোগে বামুনপাড়া, বগাবাইদ, শেখেরভিটা এলাকায় কাজ শুরু হয়। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, বামুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সংস্কৃতি কর্মী মুন্নাসহ এলাকা গন্যমান ব্যক্তিবর্গ ও পৌরসভার প্রকৌশলীগণ।
পৌরসভার প্রশাসক বলেন এখন আমাদের মূল লক্ষ্য জলাবদ্ধতা নিরসন ও আবর্জনামুক্ত শহর গড়ে তোলা। এ জন্য পৌরসভার সকল পর্যায়ের কর্মী, প্রকৌশলীসহ এলাকাবাসী সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। বর্ষা মৌসুম শেষে মাস্টার প্লান করে জামালপুর পৌরসভাকে আধুনিকমানের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।

জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন শক্তিশালী ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে পারলে জলাবদ্ধতা দূর হবে। তিনি বলেন উজানের পানি আসার প্রতিটি মুখ বন্ধ করে দিয়েছে ব্যক্তি স্বার্থে। এ ছাড়া রেলের সরকারি জমি দখল করে স্বার্থপর মানুষ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে পানি প্রবাহের গতিধারা স্বাভাবিক করতে পারলে জলজট থেকে পৌরবাসী মুক্তি পাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শেখেরভিটা রেললাইন সংলগ্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন খনন করে তা গবাখালি খালের সাথে যুক্ত করতে পারলে পৌরসভার পশ্চিম উত্তরাঞ্চলের জলাবদ্ধতা থাকবে না। বিশেষ করে চন্দ্রা, হাটচন্দ্রা, বনপাড়া, পলাশগড়, পৌর গোরস্থান, মাইনপুর, পাথালিয়া, কৃষি ফার্ম, বিজিবি ক্যাম্প, আনসার ক্যাম্প, শেখেরভিটা, নয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
অপরদিকে বংশ খাল পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি শহরের প্রতিটি ড্রেন পরিস্কার করে খালের সাথে যুক্ত করতে পারলে কোথাও পানি জমে থাকবে না। একই সাথে বানিয়াবাজার খাল সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন পৌরসভার পূর্ব এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ। এতে ছনকান্দা, বানিয়াবাজার, ডাকপাড়া, হরিপুর, মাছিমপুর এলাকার জলাবদ্ধতা থাকবে না।
অপরদিকে বিসিক, দাপুনিয়া, লাঙ্গলজোড়া, বেলটিয়া এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন পৌরসভার দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ। তারা জানিয়েছেন বিসিকের পশ্চিম পাশে বাইপাস মোড় থেকে নবনির্মিত ড্রেনের সাথে প্রধান সড়কে একটি কালভার্ট নির্মান করে উল্লেখিত এলাকার পানি প্রবাহের সংযোগ করতে হবে। এই পানি গবাখালি খালে গিয়ে নির্গত হবে। আপাতত এসব এলাকার জলাবদ্ধতা দূরিকরণে উল্লেখিত মতামত কাজে লাগিয়ে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
ক্যপশন: জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার উদ্যোগ গ্রহণ। শেখেরভিটা, বামুনপাড়া ও বগাবাইদ এলাকা।