
বেরোবি প্রতিনিধি,
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে মৌখিক পরীক্ষায় এক নারী শিক্ষার্থীকে নেকাব খুলতে বাধ্য করার ঘটনায় অবশেষে দুঃখপ্রকাশ করেছে বিভাগটি।
বুধবার দুপুরে বিভাগের প্রধান আরা তানজিয়ার স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এই দুঃখপ্রকাশ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের মৌখিক পরীক্ষার সময় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তার জন্য বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে এবং শিক্ষার্থীদের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, সে বিষয়ে বিভাগ সতর্ক থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার বিভাগের ১৫তম আবর্তনের চূড়ান্ত ভাইভায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, ভাইভা বোর্ডে থাকা বহিরাগত সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল কাইয়ুম ওই শিক্ষার্থীকে নেকাব খুলতে বলেন। শিক্ষার্থী এতে অস্বীকৃতি জানালে বিভাগের আরেক শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মো. ইউসুফ তাকে ‘ফেল করিয়ে দেওয়ার’ হুমকি দেন।
এ বিষয়ে বোর্ডের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীকে নেকাব খুলতে বলা হয়েছিল ঠিকই, তবে রাজি না হওয়ায় যেভাবে সম্ভব, সেভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর ফেল করানোর হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে ইউসুফ বলেন, তিনি কাউকে হুমকি দেননি এবং মার্ক দেওয়ার দায়িত্বও তাঁর ছিল না।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একে ব্যক্তিগত ধর্মীয় অধিকারের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও বিভাগীয়ভাবে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে, তবুও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে।