শহীদ আহমদ খান ।।
সম্প্রতি “কালিঘাট পাইকারি বাজার শহরের বাহিরে নিয়ে যাওয়া হবে” সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম কর্তৃক এমন বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিলেট ব্যবসায়ী সমিতি ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে সিলেট নগরীর ভিতরে সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির আওতাধীন ৭টি বাজার পরিদর্শন করেন সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা বলেন, সিলেটের প্রাচীন ও সুপরিচিত পাইকারি বাজার গুলোর মধ্যে একটি কালীঘাটের বাজার একটি বিভাগীয় বাজার। শুধু বাজার নয় এটি একটি প্রাচীনতম সুরমা নদীর বন্দর, যা দিয়ে নৌপথে বতমানে বর্ষাকালে মালামাল আমদানি রফতানি হয়ে থাকে, একসময় সারাটা বছর নৌপথে মালামাল আসা যাওয়া হত, নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়াতে এখন শুধু বর্ষার সময় নৌপথে চালু থাকে, দীর্ঘদিন ধরে এখানকার প্রবীণ ও নবীনে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। শুধু সিলেট নয় আশপাশে জেলার ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা পণ্য সংগ্রহ করে থাকেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, হঠাৎ করে বাজার সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা ব্যবসায়ী সমাজে চরম অস্থিরতা ও হতাশা তৈরি হয়েছে। বৃহওর এই এালাকার ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা বা মতামত না নিয়েই বাজার স্থানান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে তা হবে অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত। এতে শত শত ব্যবসায়ী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বাজারের ঐতিয্য ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে।
তাঁরা দাবি করেন, বাজারের স্থানান্তর নয় বরং অবকাঠামো উন্নয়ন যানজট নিরসন এবং বাজার ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নই এখন সময়ের দাবি। আমারা ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন থেকে যানজট নিরসন ও হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এই এলাকায় যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সেক্ষেত্রে আলাদা আলাদা টিম গঠন করে যনজট নিরসর করে আসছি। তারা বলেন, বাজারের অবস্থান পরিবর্তন করলে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি, পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ও সার্বিক বাজার পরিস্থিতির ওপর নীতিবাচক প্রভাব পড়বে।ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের বক্তব্য পূন র্বিবেচনার আহ্বান জানান এবং সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর তাগিদ দেন।
বক্তারা বলেন, কালিঘাট বাজার শুধু একটি ব্যবসা কেন্দ্র নয়, এটি সিলেটের ইতিহাস ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই বাজার স্থানান্তর নয়, বরং সমস্যা সমাধানের উদ্যোগই সকলের কাম্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সভাপতি জনাব নজরুল ইসলাম মুনিম, সাধারণ সম্পাদক জনাব সৈয়দ জাহিদ উদ্দিন, সহ-সভাপতি জনাব মোহাম্মদ সাদেক, সহ-সাধারণ সম্পাদক খুবেব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সামন, প্রচার সম্পাদক মো ইমতিয়ার হোসেন আরাফাত, কার্যকরী কমিটির সদস্য মো: আখতারুজ জামান, মাহবুবুর রহমান জনি, মারুফ আহমদ, হাজী মো: আলা উদ্দিন,হাজী তফজ্জুল হোসেন খাঁন, জুনেল আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মারুফ আহমদ, লায়েক আহমদ, দেলওয়ার হোসেন রাসেল, ইকবাল হোসেন, সাহেদ আহমদ, ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।