জাতির সংবাদ ডটকম।।
গণপরিবহণসহ পাবলিক প্লেসে ধূমপান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হলে জনসচেতনতার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব জায়গায় পাবলিক নির্দ্বিধায় ধুমপান করে যাচ্ছে। প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে যেহেতু আমাদের হাতে আইন আছে তাই আইনের যথাযথ প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী তামাকমুক্ত আইন। আমরা মনে করি, একটি শক্তিশালী তামাকমুক্ত আইন এর সঠিক বাস্তবায়ন-ই পারে একটি বাস টার্মিনালকে সম্পূর্ণরূপে ধূমপানমুক্ত করতে। অদ্য বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫ সকালে অনুষ্ঠিত “তামাকমুক্ত বাস টার্মিনাল প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন: করণীয় ও সম্ভাবনা”- শীর্ষক মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি (ডাস), বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) ও ঢাকা জিলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-২৪১৫) এর যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি দুটি মহাখালি বাস টার্মিনালের শ্রমিক ইউনিয়ন হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-বাটা’র ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী এবং প্রত্যাশা-মাদক বিরোধী সংস্থার সভাপতি হেলাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিদ্বয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাস্ এর টীমলীড আমিনুল ইসলাম বকুল। কর্মসূচি দুটি সঞ্চালনা করেন ডাস্ এর কর্মসুচি সমন্বয়কারী মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু। অন্যন্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জিলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং-২৪১৫)এর সহ: সাধারণ সম্পাদক মো: মোতালেব, কোষাধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: রহিম উদ্দিন মুরব্বী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জামাল মিয়া, প্রচার সম্পাদক মো: সুমন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মো: গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, সদস্য মো: জাহাঙ্গীর আলম, মো: মোক্তার আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যুরো অফ ইকোনোমিকস এর প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, নাটাবের প্রকল্প পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব, বাটা’র নেটওয়ার্কিং কর্মকর্তা আজিম হোসেন প্রমূখ।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াও চালক ও হেল্পারগণ মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য দরকার চালক ও হেল্পারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিজেদের অধূমপায়ী হওয়া। তিনি আরও বলেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই, নিজস্ব সচেতনতাই পারে নিজেকে তামাকমুক্ত জীবন গড়তে সহায়তা করতে।
বক্তারা মনে করেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ ও সংশোধিত ২০১৩ অনুযায়ী পাবলিক প্লেস ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ধূমপান নিষিদ্ধ এবং পাবলিক প্লেস ও পাবলিক ট্রান্সপোটের মালিক, তত্বাবধায়ক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইনের উদ্দেশ্য পালনে বাধ্য অন্যথায় তাদের জরিমানাযোগ্য শাস্তি প্রদান করা হবে। সূতরাং বাস মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বিআরটিএ, জনপ্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও নাগরিক সমাজ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর প্রয়োগের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
পরিবহন শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাস টার্মিনালগুলোতে অবাধে ধূমপান বন্ধের পাশাপাশি টার্মিনাল এলাকায় যত্রতত্র সিগারেটের দোকান যাতে বসতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দিতে হবে। গণপরিবহনে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর ও বাস্তবায়নে বাস মালিক সমিতির উদ্যোগে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যবস্থা করতে হবে।