বিএনপি নেতা ও জনপ্রিয় কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনকে মেয়র হিসেবে দেখতে চান নারায়ণগঞ্জবাসী বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারে ফুলেল শুভেচ্ছা অব্যাহত

মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৮, ২০২৫

জাতির সংবাদ ডটকম।।

জুলাই আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ সাইনবোর্ড-সানারপাড় এলাকায় গণআন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্বদানকারী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ড থেকে দুই বার নির্বাচিত জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনকে এবার নগরপিতা হিসেবে দেখতে চান নারায়ণগঞ্জবাসী।

জুলাই গণআন্দোলনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় ৭ হাজার নেতা-কর্মীকে বহিস্কার করা হলেও ১৪ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। খবরটি গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে গত কয়েকদিন ধরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে আসেন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও এলাকার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। তাদের পক্ষ থেকে একটাই কথা, আওয়ামী লীগের আমলে ক্লিন ইমেজ, সমাজসেবায় অনন্য অবদান ও পরোপকারী হওয়ার কারণে দুই দুই বার বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া জনপ্রিয় এই বিএনপি নেতা মো. ইকবাল হোসেনকে আমরা মেয়র হিসেবে দেখতে চাই।

আজ সোমবার ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসা সাহেবপাড়া এলাকার আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেন, আমরা জুলাই আন্দোলনের অগ্নিগর্ভে নেতৃত্বদানকারী সাহসী কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনকে সিটি মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। পূর্ব সাহেবপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও নিরিবিলি কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান সহিদুল হক খান ঝন্টু বলেন, এই এলাকার গরীব-দুখী, সাধারণ মানুষের কাছে কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন একটি জনপ্রিয় নাম। তাকে আমরা মেয়র হিসেবে দেখতে চাই। এসময় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ শাহীন ও আবদুল হালিম ঠিকাদারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করায় বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের ১৬ বছরে আমার বিরুদ্ধে ৭৬টি মামলা হয়েছে। তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলেন, এসময় কারাবন্দী ও মালমায় জর্জরিত থাকায় বিনা চিকিৎসায় ২০১৯ সালে মারা গিয়েছেন আমার শ্রদ্ধেয় বাবা ও প্রিয়তমা স্ত্রী। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আমার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২ বার করে হামলা ও ভাংচুর হয়। ফ্যাক্টরি ও স’মিল দখল করে ভাড়া নিয়ে যায় আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। ’২৪ সালের ৪ আগস্ট আমার কাউন্সিলর অফিস আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিবি হারুন ও এসপির কাছে আমি ছিলাম কালো তালিকাভুক্ত আসামী। আন্দোলনকালে চিটাগাংরোড ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে আমাকে লক্ষ করে গুলি করলেও দুঃসংবাদ হলো, আমার পাশের লোকটা মারা যান। তবুও আমি আপোস করিনি।

তিনি বলেন, আগামীর প্রধানমন্ত্রী, তারুণ্যের অহংকার দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমি এসব তোয়াক্কা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথের সৈনিক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। আশা করি আমার দল আমাকে মূল্যায়ণ করবে।