নতুন সামাজিক নিরাপত্তা সংস্কার ঘোষণা করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সোমবার দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংস্কারের নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করবেন। গত গ্রীষ্মে প্রস্তাবিত সংস্কার তার নিজের দলের বিদ্রোহী এমপিদের বাধায় আটকে যায়।

লন্ডন থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ভাষণের অংশে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের বাজেটে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট মোকাবিলায় কর বাড়ানোর প্রস্তাবের পর তিনি নতুন করে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন। বাজেট বাজারে ইতিবাচক সাড়া পেলেও কনজারভেটিভ বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছে।

কনজারভেটিভরা অভিযোগ করেছে, অর্থমন্ত্রী র‌্যাচেল রিভস বাজেটের আগে দেশের আর্থিক অবস্থা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। তবে রিভস রবিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, লেবার সরকার প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ব্যর্থতার অভিযোগসহ নানা ইস্যুতে চাপের মুখে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে স্টারমার সোমবার তার সরকারের অর্থনৈতিক নীতি রক্ষা করবেন এবং সামাজিক নিরাপত্তা সংস্কারের প্রসঙ্গে ফিরবেন।

তিনি ভাষণে বলবেন, ‘আমাদের বাস্তবতা মেনে নিতে হবে যে কল্যাণ রাষ্ট্র মানুষকে শুধু দারিদ্র্যে নয়, কর্মহীনতার ফাঁদেও ফেলছে।’

তরুণদের জন্য শিক্ষানবিশ কর্মসূচিতে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলবেন, ‘আমাদের কল্যাণ রাষ্ট্রকেও সংস্কার করতে হবে।’

ব্রিটেনে বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যক তরুণ দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতার কারণে কর্মবাজারের বাইরে রয়েছে। স্টারমার বলবেন, ‘যদি কাউকে শুধু নিউরোডাইভারজেন্ট বা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে বাদ দেওয়া হয়, তবে তারা দশকের পর দশক কর্মহীনতা ও নির্ভরতার চক্রে আটকে যায়।’

তিনি আরও বলবেন, ‘এটি দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে, উৎপাদনশীলতার জন্যও ক্ষতিকর এবং সবচেয়ে বড় কথা এটি দেশের সম্ভাবনা ও সুযোগকে নষ্ট করে।’

কল্যাণ ব্যবস্থার প্রসঙ্গে তিনি যোগ করবেন, ‘তরুণদের সম্ভাবনাকে আটকে রাখে এমন প্রণোদনা আমাদের বাদ দিতে হবে।’

স্টারমার ব্যবসায়িক খাতে নিয়মকানুন শিথিল করার পদক্ষেপও ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত গ্রীষ্মে সরকারকে প্রতিবন্ধী ও অসুস্থতার ভাতা কমানো বিষয়ক সামাজিক নিরাপত্তা সংস্কারের আগের প্রস্তাব থেকে পিছু হটতে হয়। কারণ, লেবার দলের ১২০ জনের বেশি এমপি বিদ্রোহ করেছিলেন।

তার নিজের দলের অনেক এমপি অভিযোগ করেছেন, স্টারমারের নেতৃত্ব মূলত ডানপন্থী, অভিবাসনবিরোধী রিফর্ম ইউকে পার্টির উত্থান ঠেকাতে মনোযোগী। এতে লেবারের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্র-বামপন্থী নীতির সঙ্গে তার নেতৃত্বের অমিল তৈরি হয়েছে।