নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোজ্যতেলের দাম ব্যবসায়ীরা হুট করে লিটার প্রতি ৯ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তটির আইনগত ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তেলের দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীরা সরকারের কোনো সম্মতি নিয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের কেনো সম্মতি নেয়নি। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো কথা হয়নি। আমরা এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি বৈঠক করেছি। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আমাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করবো। সব কোম্পানি সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে তেলের দাম বাড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
এখন সরকার কী করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করে কর্মপন্থা ঠিক করবো। তারা যে কর্মকাণ্ড করেছে, তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
তিনি বলেন, গতকালও ক্রয় কমিটিতে পঞ্চাশ লাখ লিটার সয়াবিন ও এক কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।
যেহেতু গতকালও ক্রয় কমিটিতে পঞ্চাশ লাখ লিটার সয়াবিন ও এক কোটি লিটার রাইসব্রান তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি সেহেতু ৫০ লাখ লিটার তেল যদি আমরা দরপত্রের মাধ্যমে কমদামে কিনতে পারি, তাহলে বাজারে কেন এত বেশি দামে বিক্রি করা হবে? এর কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
কোম্পানিগুলোর ওপর সরকারের কী নিয়ন্ত্রণ নেই, প্রশ্নে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই, সেটা আমাদের পদক্ষেপের মাধ্যমে জানতে পারবেন। নিয়ন্ত্রণ নিশ্চয়ই আছে।
মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াল কীভাবে, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সেটা এখন ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসা করেন। আমরা পদক্ষেপ নেব; আলোচনায় বসেছি। এর আগেও তারা দাম বাড়িয়েছিল, আমরা একমত পোষণ না করায় তারা দাম বাড়াতে পারেনি। আর আইন লঙ্ঘন করে থাকলে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার এক লাফে লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৯ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। ভোক্তা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগাম ঘোষণা ছাড়া এভাবে কূটকৌশলে দাম বাড়ানো চরম অন্যায়। সরকারের সংশ্লিষ্টদের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা।