জাতির সংবাদ ডটকম।।
গত ২৯/০৩/২৩ইং তারিখে বিপিআইএ-এর ডিম ও মুরগীর মাংসের মূল্য নির্ধারণ কমিটির এক সভা ১/১০, লালমাটিয়া অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করে ডাঃ মোছাদ্দেক হোসেন, আহ্বায়ক, মূল্য নির্ধারণ কমিটি।
সভায় ডাঃ মোছাদ্দেক হোসেন সাম্প্রতিক সময়ে ডিম ও মুরগীর মাংসের নি¤œমূখী ও ব্রয়লার বাচ্চার উর্ধ্ব মূল্যের বাজার বিষয়ে আলোচনা করেন। বর্তমানে ডিম, মুরগী, মাংস ও ১ দিনের বাচ্চার মূল্য সরকার থেকে ২০১০ সালের পর কোন সময়ে নির্ধারণ করা হয় নাই। ২০১০ সালে সূত্র নং বিবিধ-০৪/২০০৯/২৭২ তাং ২৭/০৬/২০১০ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ও খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, ব্রিডার, ফিডমিল এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সেক্রেটারীর সমন্বয়ে এক দিনের মুরগীর বাচ্চা, ডিম ও মাংসের মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠন করা হয়।
তৎকালিন সময়ে ১ দিনের মুরগীর বাচ্চার দাম ডিম ও মুরগীর মাংসের মূল্য নির্ধারণ করা হতো, কমিটি নিয়মিত দেশের সর্বত্র বিশেষ করে কাপ্তান বাজার, তেজগাঁও ডিমের আড়ৎ এ স্ব শরীওে উপস্থিত থেকে ডিম, মুরগীর মূল্য নির্ধারণ করতেন। ১ দিনের বাচ্চার মূল্য ব্রিডার এসোসিয়েশনকে নিয়ে নির্ণয় করা হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ঐ মূল্য নির্ধারণ কমিটি সচল না থাকার কারনে সরকার এবং পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন ডিম, মুরগী, মাংসের এবং ১ দিনের বাচ্চার মূল্য নির্ধারণ করছেন না।
এ পর্যায়ে ডিম মাংস ও ১ দিনের বাচ্চার সঠিক মূল্য এবং বাজারজাত না হওয়ার কারণ উৎপাদকবৃন্দ বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং দেশে ডিম ও মাংসের উৎপাদন কমে আসছে। গত কিছুদিন যাবৎ সরকারের সংস্থা সমূহ ডিম, মুরগীর মাংসের দাম কমানোর জন্য আড়ৎদার, পাইকার ও খামারীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে, ক্ষেত্র বিশেষে সরকারী অফিসে উৎপদানকারীদের ডেকে নিয়ে দাম কমানো হচ্ছে।
বিপিআইএ বিভিন্ন সময়ে ডিম ও মাংসের উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্য নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রানালয়কে জানানো হয়।
সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, খাদ্যের প্রধান উপকরণ সমূহের মূল্য বৃদ্ধিতে পোল্ট্রি খাদ্যের মূল্য কেজি প্রতি দ্বিগুনের বেশী হয়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে ডিম, মাংস উৎপাদন খরচ দ্বিগুন বৃদ্ধি পায়। ডিম, মাংস, বাচ্চা উৎপাদন ও খাদ্য উৎপাদনকারীগণ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন “ভোক্তাদের সঙ্গে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদনবৃন্দকে বাঁচাতে হবে”।
একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১১.৭১ টাকা খামারী লাভ ছাড়া, একইভাবে এক কোজি মুরগীর মাংসের উৎপাদন খরচ ১৬৮.২৮ টাকা লভ্যাংশ ছাড়া, এ অবস্থায় খামারীরা প্রতি ডিম ৩ টাকা, প্রতি কেজি মুরগীর মাংসে ২০ টাকা বর্তমানে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন মানমীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন করছে যে, ডিম, মাংস ও ০১ দিনের বাচ্চা, খাদ্য উৎপাদকারী এবং পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়িগণকে বাচাঁনোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।