ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন

শনিবার, এপ্রিল ১, ২০২৩

জাতির সংবাদ ডটকম।। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি, সেবায়েতবিহীন মন্দির পরিচালনার প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহম্মেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সাহা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন হিন্দুদের জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরের অনিয়ম, দুর্নীতি, সেবায়েতবিহীন মন্দির পরিচালনা এবং চলমান সংকট নিরসনকল্পে উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ প্রদানসহ কয়েকদফা প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর নিকট তুলে ধরেন।

কয়েকটি হিন্দু সঙ্গবদ্ধ চক্র সাত দিনের লিখিত অনুমতি নিয়ে পূজা করতে এসে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে মন্দির অভ্যন্তরে কয়েকটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনের অর্থ উপার্জনের উৎস হিসেবে ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করছেন।  স্বপরিবারে ভারতের নাগরিক একজনকে প্রধান ক্যাশিয়ারের চেয়ারে বসিয়ে দেবীকে প্রদেয় দান অনুদানের টাকা ভারতে পাচার করাছে।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে জমি সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান হওয়ার পরেও জমি সংক্রান্ত জটিলতা চলমান রেখে স্থানীয়দের সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছেন।  ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা নষ্ট করে মন্দির অভ্যন্তরে বাণিজ্যিক ভবন বানানোর কাজ চলছে।  দেশি-বিদেশি এনজিও, দাতা সংস্থা দের কাছ থেকে গোপন সুবিধা ভোগ করতে সরকারি নির্দেশনা ব্যতীত ঢাকেশ্বরী মন্দিরের নামের সহিত জাতীয় উপাধি সংযুক্ত করে ব্যক্তিগত সুবিধা ভোগ করছেন। বাংলাদেশের সকল মন্দির ব্যবস্থায় সেবায়েতের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও এই মন্দিরের সেবায়েতকে সম্মান ও অধিকার থেকে সরিয়ে দেবত্ব সম্পত্তি আত্মসাৎ এর চেষ্টা চালাচ্ছেন।  এই মন্দির পরিদর্শন করতে এসে দেশি-বিদেশি পর্যটক মন্ত্রী-মিনিস্টার সকলেই কিছু না কিছু দান অনুদান সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন এর হিসাবে নেই কোন সরকারী নজরদাঁড়ি।  দেশের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু ঐতিহাসিক নিদর্শন হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানে দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে সহজ সান্নিধ্য পেয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন একটি চক্র।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কৌশলে সুবিধা আদায় করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার-যেমন ১৯৯০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বসবাসরত অসহায় পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্ণবাসন প্রকল্প (লাল ৬তলা ভবন) ব্যবহার হচ্ছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে।  মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করে মন্দির অভ্যন্তরে ধর্ম বিরোধী কার্যকলাপ ও সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ পরিচালনা করছেন।