জাতির সংবাদ ডটকম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্নীতিবিরোধী ভাষণ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (০২ মে) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, বক্তব্য, উক্তির একটি তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় আর্কাইভকে ৩০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরও বলেছেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে হার্ডলাইনে যেতে হবে। আর সবাই সোচ্চার না হলে বিচারবিভাগ, গণমাধ্যমের একার পক্ষে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়।
দুর্নীতির বিষয়ে এ সময় বেঞ্চের সিনিয়র একজন বিচারপতি আক্ষেপ করে বলেন, ‘কানাডার বেগমপাড়া এবং সুইচ ব্যাংকে টাকা পাচারের তথ্য এখনও পাইনি। এত আদেশ দিয়ে কী হবে।’
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু তার সেই ভাষণে বলেছিলেন, ‘এখনও ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ চোরাকারবারি, মুনাফকারী বাংলার দুঃখী মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর যাবত আমি অনুরোধ করেছি, আবেদন করেছি, হুমকি দিয়েছি। চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। কিন্তু আর না।’