জাতির সংবাদ ডটকম।।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট শুটার মো. ইয়াছিন উদ্দিন লিটন ওরফে ইয়াসিন ওরফে লিটন আখন্দ ওরফে শুটার লিটনকে (৩৯) আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।
আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট মো. ইয়াছিন উদ্দিন লিটন কুমিল্লার মেঘনা থানার চন্দনপুর গ্রামের মৃত বদরুজ্জামান বাদলের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ীর ৬০/৯/এল বাড়িতে বসবাস করেন।
অভিযানে তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড এ্যামুনেশন (গুলি), ৩৪৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি মোবাইল ফোন ও মাদক বিক্রয়ের নগদ- ৫১ হাজার ৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জানান, সোমবার (১৫ মে) রাতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর বিজিবি মার্কেট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক শুটার লিটন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, মুগদা, পল্টন, মতিঝিল, কদমতলী ও কেরাণীগঞ্জসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজি, অবৈধ ভূমি দখল, ধর্ষণ ও হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। তার কাজে কেউ বাঁধা দিলেই মারধর করে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতেন।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে লিটন জানায় তিনি দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন। লিটন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এসব এলাকায় মাদকের কারবার পরিচালনা করতেন, যার কারণে কেউ ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করতেন না।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, আটক লিটন বিভিন্ন উচ্চবিত্ত ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখিয়ে করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করতেন। দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে লিটন তাদেরকে মারধরসহ বিভিন্ন শারীরিক নির্যাতন করতেন এবং প্রয়োজনে তাদেরকে হত্যা করতেন বলেও জানা যায়।
তিনি জানান, এছাড়া লিটন কন্ট্রাক্ট কিলিংসহ মোটা অংকের টাকার বিনিময় যে কাউকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করতেন না। যার কারণে তিনি শুটার লিটন নামে খ্যাত। লিটনের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মুগদা ও পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা, দুইটি অস্ত্র মামলা, তিনটি মাদক মামলা ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলাসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
আটক লিটনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।