সাঁথিয়ায় সহায়তা না পেয়ে নিজ উদ্যোগে অনাবাদী জমির কচুরিপানা নিধন 

রবিবার, মে ২৮, ২০২৩

এম এ হাই, সাঁথিয়া (পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাথিয়ায় এলাকাবাসীর নিজ অর্থায়ন উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের ঘুঘুদহ বড়বিলের অনাবাদি কৃষি জমির কচুরিপানা অপসারণের জন্য শনিবার (২৭ মে) দুপুরে বিষ প্রয়াগ করছন এলাকার কৃষক। সরকারিভাবে কচুরিপানা অপসারণের জন্য সহযাগিতা এবং পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী এলাকার কৃষকের।

 

ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান,ঘুঘুদহ বড়বিলি প্রায় ২ হাজার ৮০০ বিঘা জমি আছে এর মধ্য প্রায় ৫০০ বিঘা জমি এ বছর কচুরিপানার কারণে অনাবাদি রয়েছে। তাই এলকার কৃষকেরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে বিষ কিনে জমিতে আজ প্রায় ১৩০ বিঘা জমিতে কচুরিপানা ও আগাছা নিধনের জন্য বিষ প্রয়োগ করেছেন। বাঁকি ৩৭০ বিঘা জমিতেও পর্যায়ক্রমে বিষ প্রয়োগ করা হবে বলে জানান কৃষকেরা। এছাড়া অন্যান্য বছরও অনেক জমি কচুরিপানার কারনে অনাবাদি থাকবে বালে অভিযােগ করেন ভূক্তভােগী কৃষকেরা।

 

ঘুঘুদহ গ্রামের কৃষক মােজাম্মেল হক জানান, এই বিল আমার আড়াই বিঘা জমির মধ্যে দুই বিঘা জমিই কচুরিপানার কারনে অনাবাদি রয়েছে। আবাদ করতে না পারায় অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হচ্ছে। সরকারিভাবে কচুরিপানা অপসারণ করা হলে আমার মত অনেক ক্ষুদ্র কৃষক উপকৃত হবে।

 

কৃষক মনসুর আলম জানান, আমার মত অনেক কৃষকের এই বিল অনেক জমি অনাবাদি রয়েছে। আগামিতে আবাদ করার জন্য আমাদের এই উদ্যােগ। কিন্তু এত জমির কচুরিপানা নিজেদের উদ্যাগে অপসারণ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষপ গ্রহনের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

 

এ ব্যাপার গৌরীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মাষ্টার বলেন, ঘুঘুদহ বড়বিলর অনাবাদি জমির কচুরিপানা ও আগাছা নিরসনের জন্য কৃষকদের নিজ উদ্যাগে বিষ প্রয়াগ করা হয়েছে। এ কাজের উদ্বােধন করার জন্য আমাকে অতিধি করায় কৃষকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবেনা সেজন্য কৃষকদর এ উদ্যোগকে সাদুবাদ জানাই।

 

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সঞ্জীব কুমার গােস্বামী বলেন, ‘কচুরিপানা অপসারণের জন্য ওই এলাকার কৃষকরা আমার দপ্তরে এসছিল। তাদেরকে বলা হয়ছে কচুরিপানা অপসারনের জন্য সরকারি ভাবে আমাদের কাছে কােন অর্থ বরাদ্দ নেই। কৃষকদের ব্যক্তিগত ও সমন্বিতভাবি কচুরিপানা অপসারন করতে হবে। তাবে কৃষকরা নিজ উদ্যাগে কাজটা শুরু করার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া সরকারিভাব অপসারণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি আমি অবহিত করবাে”