জাতির সংবাদ ডটকম।।
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কেনা সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম মাসুদ ও তার ভাই সানাউল্লাহ এবং আনসার উল্লাহ এর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের চরকালি ১নং ওয়ার্ডের মাহতাব ভুইঁয়া বাড়ির মৃত রুহুল আমিন ও তার বড় ভাই আমিন উল্লাহ দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর আগে ১২ শতাংশ জমি খরিদ করেন। কেনার পর থেকে এ জায়গা গুলো চাষাবাদ ও দেখাভাল করতো মৃত রুহুল আমীনের ভাই আমির হোসেন এর ছেলে সাইফুল ইসলাম মাসুদ, সানাউল্লাহ, আনসার উল্লাহ। খালি জায়গা পড়ে থাকায় এখানে চাষবাস করে এগুলো তারা ভোগ করতো।
জানাজায়,ব্যাবসায়ীক কারনে রুহুল আমীন পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার ফকিরাপুলে বসবাস করতেন। কিন্তু ২০০৪ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ এক সড়ক দূর্ঘটনায় রুহুল আমীন সহ তার পরিবারের ৭ জন সদস্য একসাথে মৃত্যুবরন করেন। এদিকে অন্য গাড়িতে থাকায় বেঁচে যান রুহুল আমীনের সন্তান ১৬ বছর বয়সী নজরুল ইসলাম ফয়সাল। এই বয়সে মা বাবা সহ পরিবারের সবাইকে একসাথে হারিয়ে নজরুল ইসলাম ফয়সাল অনেকটা নিঃস্ব হয়ে পড়েন। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে সকল শোক সামলিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস শুরু করেন এবং সেখানে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। একইসাথে দেশের স্বনামধন্য একটি মিডিয়ায় সাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কর্মরত আছেন। পরিবার পরিজন সবাইকে হারিয়ে এবং তারা কেউ বেঁচে না থাকায় বাড়িতে তেমন একটা আসা হতো না নজরুল ইসলাম ফয়সালের।
আর এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে এবং ফয়সালের মা বাবা সহ পরিবারের কেউ না থাকায় তার মৃত বাবা রুহুল আমীন ও তার জেড়া আমিন উল্লাহর কেনা সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করে তাদের ভাই আমির হোসেন এর ছেলে সাইফুল ইসলাম মাসুদ, সানাউল্লাহ, আনসার উল্লাহ।
২০২৩ সালের মে মাসের শুরুতে নজরুল ইসলাম ফয়সাল-কে না জানিয়ে তার জেঠা আমির হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম মাসুদ, সানাউল্লাহ এবং আনসার উল্লাহ নজরুল ইসলাম ফয়সাল ও তার অন্য জেঠাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক মাটি ভরাট শুরু করে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জায়দল হক কচি এবং ইউপি সদস্য পিংকন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বাঁধা দিলেও তারা কারও কথা তোয়াক্কা না করে তাদের মতো করতে থাকে।
সম্প্রতি আবারও রাতের আঁধারে ট্রাক নিয়ে নজরুল ইসলাম ফয়সালের বাবা মৃত রুহুল আমীনের কেনা সম্পত্তিতে জোরপূর্বক মাটি ভরাট শুরু করে তারা। বিষয়টি জানতে পেরে ফয়সাল ঢাকা থেকে বাড়ি এসে তাদের বাঁধা দিলে তাকে ও তার অন্য জেঠাদের গালমন্দ এবং গায়ে হাত তোলা ও হেনস্তা করে।
পরে নজরুল ইসলাম ফয়সাল আইনী ভাবে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গন্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ তাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসেন। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মাটি ভরাট বা কোন ধরনের কাজ করতে নিষেধ করলেও তারা তা অমান্য করে আবারও রাতের আধারে ট্রাকভর্তি মাটি এনে জায়গা দখলের চেষ্টা করলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে অবগত করলে ওসি পুলিশ পাঠিয়ে মাটি ভর্তি দুটি গাড়ি জব্দ করেন।
এদিকে নজরুল ইসলাম ফয়সাল ওসির আন্তরিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন আমি বিষয়টি সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোন মতামত পাওয়া যায়নি।