স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মদনসিং গ্রামের মাছ চাষী আলাল হোসেন ও হাবিবুর রহমানেন লীজকৃত পুকুর থেকে রাতের বেলা প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মাছ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মাছচাষী আলাল স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
দায়েরকৃত মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে মদনসিং গ্রামের মাছ চাষী আলাল হোসেন ও হাবিবুর রহমান পার্শ্ববর্তী অমরপুর মৌজার ৫৩নং আরএস খতিয়ান ভূক্ত ১১০ নং দাগে অবস্থিত অমরপুর শিমুলডাঙ্গা জামে মসজিদের নামীয় ১ একর ৫৬ শতাংশ পুকুর মাছ চাষের জন্য ৫ বছর মেয়াদে লীজ গ্রহণ করে যথারীতি উক্ত পুকুরে রুই,কাতলা, মৃগেল, জাপানি, সিলভার কার্প সহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ চাষ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ঘটনার দিন গত ৩১ মে বুধবার অনুমানিক রাত ২ টা হতে ভোর ৫ টার সময় একই এলাকার
প্রতিপক্ষের নুরুজ্জামান ও শহিদ এর নেতৃত্বে ১৭/১৮ জন লোক পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বেআইনী
জনতায় দলবদ্ধ হয়ে তারা হাতে বাঁশের দাঠি, লোহার রড, বেড়জাল সহ মাছ মারার সরঞ্জামাদি নিয়ে উক্ত
লীজকৃত পুকুরে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক মাছ মারিতে থাকে। সংবাদ পেয়ে
পুকুরে নিকটে গিয়ে বিবাদীদেরকে মাছ মারিতে নিষেধ করিলে বিবাদীগণ লীজ গ্রহীতা আলাল কে খুন জখমের
হুমকী ভয় ভীতি সহ বাশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে মারার জন্য তাড়া করে। এসময় সে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। বিবাদীগণ ভোর আনুমানিক ৫টা পর্যন্ত ওই পুকুরে থাকা আনুমানিক
৫৫-৬০ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে অসৎ উদ্দেশ্যে চুরি করে ভুটভুটি যোগে সাপাহার বাজার অভিমুখে চলে যায়। চুরি করে নিয়ে যাওয়া মাছের আনুমানিক মুল্যে প্রায় ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা। এ বিষয়ে ওই দিনই স্থানীয় থানায় ভুক্তভোগী মাছ চাষী আলাল বাদী হয়ে মাছ চুরির দায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত পুর্বক গত ৩ জুন মামলাটি দায়ের করেন । এ দিকে ভুক্তভোগী মাছ চাষী আলাল হোসেন জানান মামলা করার পর থেকে আসামীগণ তাদের কে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিচ্ছে।