স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর সাপাহারে পুর্নভবা নদী গর্ভে বিলিন হতে চলেছে কৃষ্ণসদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় টি রক্ষায় এলাকাবাসী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অবিভাবক সহ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলেই সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি,প্র্রধান শিক্ষক ও গ্রামবাসীরা জানান গত ১৯৯৫ সালের দিকে নদী ও বিলের কোল ঘেঁসে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা কৃষ্ণসদা গ্রামের বসবাস রত ছেলে মেয়ে সহ নদীর পূর্বপাড়ে হাপানিয়া গ্রামেরও বেশ কিছু ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার কথা চিন্ত করে তৎকালীন এলাকার বেশ কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে পুর্নভবা নদীর পশ্চিম তীর ৩৬শতাংশ জমির উপর প্রথমে কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে সেখানে তাদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া শুরু করে। এরপর ২০১১সালের দিকে বিদ্যালয়টি রেজিষ্ট্রেশন ভুক্তির পর গত ২০১৩সালের জানুয়ারী মাসে বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার পিতাকে অনুসরণ করে দেশের সকল রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক যোগে জাতীয় করণেন ঘোষনা দিলে অত্র বিদ্যালয়টিও জাতীয় করণের অন্তভুক্ত হয় এবং সে থেকে যথারিতি সম্পূর্ন সরকারী কারিকুলাম অনুযায়ী বিদ্যালয়টিতে নুতন উদ্যোগে পাঠদান শুরু হয়।নদীর কিনারে বিদ্যালয়টির অবস্থান হওয়ায় বছর বছর বন্যার পানির তোড়ে বিদ্যালয়টির মুল ভবনটুকু বাদে সামনের মাঠ প্রায় সম্পুর্ন নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেলেও যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমানে বিদ্যালয়টির সামনে শিক্ষার্থীদের খেলা ধুলা করার মত কোন জায়গা নেই। এ ছাড়া বর্তমানে বিদ্যালয়টি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। চলতি বর্ষার পানি কোনভাবে ফুলে ফেঁপে উঠে বন্যার সৃষ্টি হলে সম্পূর্ন বিদ্যালয় ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলে ও এলাকার শিক্ষানুরাগী মহল মনে করছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তোজাম্মেল হক,প্রধান শিক্ষক রব্বুল হোসেন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা বিদ্যালয়টি টিকিয়ে রাখতে বিদ্যালয়ের তিন দিকে শক্ত গাইড ওয়াল নির্মান অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে বলে জানান। ইতোমধ্যেই প্রধান শিক্ষক রব্বুল হোনেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাপাহার উপেেজলা শিক্ষা অফিসে একটি আবেদনপত্রও জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এরপর নদীগর্ভে বিলিন হতে যাওয়া বিদ্যালয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়ে সাপাহার উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন যে, বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করেছি। এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে পাওয়া আবেদনপত্রটি যথাযথ ভাবে উর্ধনত কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। বিদ্যালয়টি রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি আশস্ত করেছেন। এরপর এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, শিক্ষা বান্ধব সরকারের আমলে শিক্ষার মূল্য অক্ষুন্ন রাখতে যে কোন মূল্যে বিদ্যালয়টিকে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান যে ইতোমধ্যেই বিদ্যালয়টি সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যালয়টি ভবিষ্যতে নদী গর্ভে বিলিন যাতে না হয় তার জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হবে। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যাবস্থা অক্ষুন্ন রাখতে বিদ্যালয়টির উত্তর পূর্ব ও দক্ষিনাংশে গাইড ওয়াল নির্মানের জন্য বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী এলাকাবাসী সহ সকল শিক্ষানুরাগী মহল সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।