আবুল কাশেম জামালপুর প্রতিনিধিঃ–
কঠোর নিরাপত্তায় সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমসহ অন্য আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রোববার দুপুর দেড়টায় তাদেরকে হাজির করা হয়।
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর ৫ দিন, ৬ জনের ৪ দিন এবং ৫ আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ এর আদালত।
সাংবাদিক নাদিম হত্যাকারী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে একনজর দেখার জন্য আদালত প্রাঙ্গনে ভীর জমে উৎসুক জনতার।
বাকি আসামীরা হলেন রেজাউল করিম,মনিরুল ইসলাম মনির ও জাকিরুল ইসলাম, মো. গোলাম কিবরিয়া সুমন (৪৩), মো. মিলন (২৫), মো. তোফাজ্জল (৪০), আইনাল হক (৫৫), কফিল উদ্দিন (৫৫), ফজলু মিয়া (৩৫), মো. শহিদ (৪০), মকবুল (৩৫), মো. ওহিদুজ্জামান (৩০)
বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বলেন, আলোচিত সাংবাদিক নাদিম হত্যায় রাষ্ট্র পক্ষ প্রত্যকের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিলেন৷ এ ঘটনায় দীর্ঘ শুনানি হয়। এসময় তারা বলেন রাতের আঁধারে হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিলো এবং কি কিভাবে আঘাত করেছে এই তথ্যগুলো উৎঘাটনের জন্য আসামিদের পুলিশের রিমান্ড প্রয়োজন। আজ বিকেল ৪ টা থেকে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
আসামি পক্ষের চার-পাচ জন আইনজীবী ছিলেন তারা তাদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান বকশীগঞ্জ থানার (ওসি) সোহেল রানা।