স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর সাপাহারে জীন ভূতের চিকিৎসা দেয়ার নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী(১৩)কে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন নামের এক হোমিও ডাক্তার কে পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা মোসাঃ শাহানা বেগমের দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানাগেছে।
তার কন্যা (১৩) সাপাহার উপজেলার একটি মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।
উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের মোঃ আলাউদ্দীন @ বিশুর ছেলে ডাঃ দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে আশড়ন্দ বাজারে একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয় খুলে চিকিৎসা দিযে আসছিল। তার মেয়ে(১৩) অসুস্থতাবোধ করলে গত ১৬ জুন সকাল আনুমানিক ১১টার আশড়ন্দ বাজারে জনাইদ হোমিও ফার্মেসী নামক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে যান। এ সময় ডাক্তার তার মেয়েকে দেখে বলেন যে মেয়েটির চিকিৎসা করতে অনেক বেশী সময় লাগবে। দুপুর ২টার সময় আবার তার চেম্বার আসতে বলেন। পরে ওই দিন যথা সময়ে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে ওই ডাক্তারের চিকিৎসালয়ে যান। এ সময় ডাক্তার মাওলানা দেলোয়ার হোসেন তার চেম্বারে ঢুকিয়ে তার মেয়েকে দেখে বলে যে, ঔষুধের মাধ্যমে সুস্থ করা সম্ভব নয় তাকে তেল পড়া দিতে হবে। তার শরীরে জ্বীন পরী বসবাস করছে। ডাক্তার মেয়েকে চেম্বারে বসিয়ে রেখে তাকে দুরে স্কুলের পার্শ্বে অবস্থিত একটি দোকান থেকে তেলের ছোট বোতল কিনে নিয়ে আসতে বলে। ডাক্তারের কথামত মেয়েকে ওই ডাক্তারের চেম্বারে রেখে ছোট একটা তেলের বোতলে সরিষার তেল ভর্তি করে নিয়ে আনুমানিক ২৫ মিনিট পর চেম্বারে ফিরে এসে তার অসুস্থ মেয়ে ও লম্পট ডাক্তার কে চেম্বারের ভিতরের পর্দা (কাপড়) বেস্টিত জায়গায় উলঙ্গ অবস্থায় এবং মেয়ের সালোয়ার খোলা অবস্থায় সোফার উপরে ধস্তাধস্তি করছে। তাকে দেখে মেয়েটি ডাক চিৎকার কান্নাকাটি শুরু করে। পরবর্তীতে তিনি ওই ডাক্তারকে বলেন যে,আপনার উপর ভরসা করে মেয়েকে একা রেখে গেলাম আর আপনি তার এত বড় সর্বনাশ করলেন। উত্তরে ওই ডাক্তার বলেন যে, নাপাক শরীরে জ্বিন-পরী থাকেনা। তাই মেয়েটি কে নাপাক না করলে জ্বিন-পরী কখনো ছেড়ে যাবে না। কোন কথা না বলে সোজা মেয়েকে নিয়ে বাড়ীতে চলে যেতে বলেন। বাড়ি ফিরে তিনি মেয়ের নিকট জানতে পারেন যে, লম্পট ডাক্তার তেল আনার জন্য তাকে বাইরে পাঠিয়ে তার মেয়েকে চেম্বারের ভিতরে নিয়ে পরিহিত কাপড় খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে গত রোববার জড়িত ডাক্তারের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ ওই দিন বিকেলে আশড়ন্দ বাজারে তার জুনাইদ হোমিও ফার্মেসী থেকে ওই ডাক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ পরদিন সকাল ১১ টার দিকে আটক হোমিও চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন যে তদন্ত পুর্বক পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।